জীবনের আর এক নাম পরীক্ষা,সেটা পাস বা ফেল,
পাস করার আনন্দ যতোটা,ঠিক ততটা !!
ফেল করার দুঃখ অনেক বেশি,তাই নয় কি?
আর তোমার পাস করা,আমার খুশির কারন।
সবাই পাসের আনন্দের,ভাগীদার হতে চায়,
ফেল করার যন্ত্রণাকে,কেউ উপলব্ধি করে না,
কখনত্ত কখনত্ত ইচ্ছা করেও,ফেল হতে হয়।
জীবনের পাস ফেলের,গড় নম্বটা আমি বুঝি,
পাস মনের মাঝে এক,নতুন স্বপ্নের জন্ম দেয়,
আর ফেল মানুষের মস্তিষ্ককে,গুটিয়ে ফেলে,
কেউ যদি ফেল করার,আনন্দ উপভোগ করে,
তাহলে তার পাসের দরজা,উন্মুক্ত সম্ভবনীয়।
জীবনে পাস ফেল হচ্ছে,বেঁচে থাকার লড়াই,
যে লড়াইএ,জয়ীকে মাল্য দেওয়া হয়,আর!!!
অপরকে সহানুভূতি,তা আবার নানান রঙের,
কিছু নতুন শেখার,করও ইচ্ছাই নাই,শুধু !!
প্রতিযোগিতার ছাত্রবৃত্তি,সব সময় দেখা যায়,
এই পৃথিবী এখন প্রিতযোগিতার, অংশগ্রহনকারী,
সব দিকেই প্রতিযোগিতার,ট্রেন দাড়িয়ে আছে,
বাঁশির শব্দ শুনলেই,লক্ষ্যে দৌড়াতে হবে তাকে।
সব মানুষই চায়,সে সকল কজে পাস করতে,
তা যেমন করেই হোক,অন্যকে দুঃখী করেও!!!
আর ফেল করার ফলই হলো,দুঃখের কারন।
পাস করার পর,সে থামতে চায় না,দৌড়ায়!!
নতুন কিছু পাওয়ার আশায়,সর্ত অনুসারে,
জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে,পাস ফেল লুকনো আছে,
রাজনীতি,শিক্ষা,ইত্যাদি,চোখ চেয়ে দেখ!!!
এই পাস ফেলের দুনিয়ার মানুষ,ফেল করেছে যেন,
এই ফেলের মাসুল তাকে,যুগ যুগ ধরে দিতে হবে।
এই পৃথিবীতে যারা যুদ্ধে জয়ী,তারাই পাবে রাজত্ব,
আর হেরে যাওয়া মানুষ,এই স্বাধীন দেশের মজদুর মাত্র।
তার একটাই কারন প্রতিযোগিতা,যখন রক্ষকই ভক্ষক!!!
দানবীর রাজা হরিশচন্দ্র,কিন্তু দাতা অন্যকেউ,
রাজা সব দিলেও,প্রজার কাছে আসার আগে,
বর্ষার জলে,ভালোবাসার চিনি,গলে মিলিয়ে যায়,
আর প্রজারা রাজাকে,রাজ্যশাসনকার্যে ফেল বলে।
তার জন্য কে দায়ি?আমরা নিজেরাই হয়তো!
ভেবে দেখ্ আমরা সব,আইনকানুন মেনে চলি কি?
নিজেরাই নিজের সার্থের জন্য,আইন ভাঙি,
কিছু লাভের জন্য,দেশের অনেকটাই ক্ষতি করি,
হয়তো কখনত্ত অজান্তে বা কখনত্ত বুঝেসুঝে,
এতো কিছু ভাবনাচিন্তা,সাধারণ মানুষের হয় না,
তারা দিন আনে দিন খায়,এতো সময় কোথায়?
সবাই যদি নিজের কাজ,সঠিক ভাবে করি ,
তবেই প্রকৃত দেশ গড়তে,সক্ষম হবো,নইলে!!
মানুষ হয়ে মানুষের মতো,বেঁচে থাকাই ধর্ম,
তাই জাতি,ধর্ম,বর্ণ,ভাষা নির্বিশেষে,সবাই এক হই,
তবেই দেশের মঙ্গল,আর দশের মঙ্গল,
আর দেশের মঙ্গল মানেই,সবার মঙ্গল হবেই,
তাই পাস বা ফেলের,অনুশোচনায় না থেকে,
আমরা সবাই,রাজা হয়ার চেষ্টা করি।