কাজ নাই,হাড়গিলে খাইনি অনেকদিন,
মাথা,গাল ভরা,কাঁচা পাকা চুল তার,
শরীর হয়েছে তামাটে,চোখের নিচে কালি,
কান্নার সাথেও বুঝি,হাসে খালি খালি।
চোখের জলতো নয়,যেন শুখনো লবন ,
চোখের জল যেন,বাতাসেই হয়েছে দ্রবণ।
কেন সে এমন? কারো মাথাব্যথা নাহিরে,
ঝড় বৃষ্টি অনাহারে,শুয়ে থাকে বাহিরে।
ভিজে রাস্তায়,কাদা হোক,হোকনা নরম মাটি,
কি এসে যায় কার,সবাইতো আছে পরিপাটি।
সমাজ সেবক কোথায় তুমি,কেমনে তুমি অন্ধ,
একই দেশে তোমার অফিস,গরিবের বেলা বন্ধ।
যাদের আছে থাকার ঘর,পেল তারা অনুদান,
ফুটো চালায় শুয়ে তুমি,করনা যেন অভিমান।
অভিমান নয়,জমছে ব্যথা,সাথে ছেঁড়া কাঁথা,
নুন আন্তে পান্তা ফোরায়,তবু কেন এতো লড়াই,
গরিব দেখি হচ্ছে গরির,ধনীর ঘরে আসছে ধন,
রাজনীতি এক জটিল খেলা,বুঝবে কবে জনগন।
আকাশ ছোঁয়া স্বপ্ন নিয়ে,গড়িসনারে এ জীবন,
স্বপ্ন শুধু স্বপ্নে থাকুক,করিস কেন এমন পণ?
স্বাধীন দেশের মানুষ আজও,উপোস করে মরে,
পাগল হওয়ার স্বাধীনতা,কে আর বলো কাড়ে।
স্বাধীনতার পাগলামি,পাগলে কি না বলে,
স্বাধীন নেতা স্বাধীন হয়ে,প্রতিশ্রুতি দিয়ে চলে।
গড়বে পাহাড়,ভরবে মিঠা জল,জ্বালবে তারা,
পরিযায়ী শ্রমিক বুঝি,এখনও ঘর ছাড়া।
শুধু অভিনয়,মন গোলানোর সুমধুর ভাষা,
শুধু টিপ সই দিতে পারি,আমি স্বাধীন চাষা।
পড়াশোনায় কাজ নেই,সেই তো নুন ভাত,
পড়ুয়ার ক্ষিদে চুরি,আবারও স্বাধীন অজুহার।
সত্যিই পাগল যারা,তাদের শুধু নাইকো তাড়া,
যা ইচ্ছে তাই করে,মরার অধিকার কে কাড়ে,
মরলে মানুষের জোট,দেয় না কোনো ভোট,
যায় না কোনো মিছিলে,পকেটেও নাই নোট।
স্বাধীন পাগল স্বাধীন দশের,উচ্চ করে শির,
গাড়ির তলায় প্রাণটা গেলে,স্বাধীন মহাবীর।