সময় যেন যাচ্ছে না আর,ঘরের মাঝে বন্দী,
মরছে দেখ সব প্রাণীরা,করোনার এই ফন্দি।
ধর্মঘটের বালাই নেই,তবুও সব দরজা বন্ধ,
সুনসান এই ফাঁকা রাস্তায়,নতুন তালের ছন্দ।
গোবাদি পশু মাস পরে না,পরে আছি আমরা,
রাস্তা ধাটে ঘুরছে পুলিস,তুলবে পিঠের চামড়া।
কাজকর্ম ব্যবসা দেখি,গেছে বাপের বাড়িতে,
পুরুষকেই ভালো মানায়,লাল পাড় শাড়িতে।
টাকা আছে খাবার নাই, ঘরে ঘরে শুনি কান্না,
দোকানদানি সব বন্ধ,চুলোই গেয়েছে রান্না।
মন্দির আর মসজিদ তো,কবেই হয়েছে বন্দ,
চার্চে আর জ্বলেনা বাতি,নাইযে ধুপের গন্ধ।
হকার গুলি কথায় গেলো,ফুটপাতও পরিষ্কার, ভিড়ভাট্টা হারিয়ে গেছে,ভাইরাসের আবিষ্কার।
কোথায় গেলো ভন্ডসাধু,কৈ গেলো জ্যোতিষী,
লোক দেখানো মন্ত্রপাঠে,মীরাকেল হবে কি?
তাবিজ কবজ পাথর গুলি,সব হয়েছে নষ্ট,
কুসংস্কার মাথায় নিলে,পাবে এবার কষ্ট।
ধনী গরিব সবাই সমান,কেউ পাবে না রক্ষা,
আল্লাও আর চায়না বুঝি,মাদিনা আর মক্কা।
ভজন কীর্তন কোথায় গেল,হরিবাসর রুদ্ধ,
সন্যাসীরাও মুখ ঢেকেছে,ভগবান তাই ক্রদ্ধ।
নিজের পায়ে কুড়ুল মেরে,করোনার এই স্বগত,
ভবিষ্যতের মুক্তি দাতা,এবার বুঝি আগত।
বাসের চাকা আর ঘোরেনা,উড়োজাহাজ বন্ধ,
ভাগ্য দেখি ঘুরছে হেথা,মৃত্যু-ফাঁদের গন্ধ।
জ্বর জ্বালা ও সর্দি কাশি,কোথায় আছে লুকিয়ে
সময়েই ডাক্তার দেখান,যাবে নইলে শুকিয়ে।
তোমার ভুলে তোমার সংসার,হতে পারে শূন্য,
নইলে দেখ সবাই মরে,পড়ে থাকবে অরণ্য।
হাতটা ধুয়ে খেতে শেখ্,ছোঁয়া ছুঁয়ি করো না,
হাঁচি পেলে কাপড়েতে,নাক ঢাকতে ভুলো না।
কাঁচা খাবার না খেলে আজ,কি হবে তাতে মন্দ
গরম করে খাবার খেলে,রোগ ছড়ানো বন্ধ।
অন্যের হাতে হাত রেখোনা,নমস্কার যতেষ্ট ,
একটু কষ্ট করলে পরে,তবেই পাবে কেষ্ট।
মিলন মেলায় আর যেওনা,পাবে তুমি মুক্তি,
এই নিয়মেই জীবাণুর,দুর্বল হবে শক্তি।
সত্যিকারের ভগবানতো,কাজ কর্মে ব্যস্ত,
ডাক্তারাই ভগবান যেন্,এটাই আসল সত্য।
বরণডালা সাজিয়ে রেখ,সেই মানুষের জন্য,
পূজ্য এরাই,বরণ কোরো,জীবন হবে ধন্য।