মনে পড়ে কি?শ্রাবণের ঝোড়ো হাওয়া,
একা মন,একটু বিকেলের আলো পাওয়া।
গঙ্গার ঘাট,আবির রঙে,জল ছবি আঁকে,
নব ঘাসের দল,মেঠো রাস্তার আঁকে বাঁকে।
বলেছিলে আসবে,সেদিনও এলে না তুমি,
ভাঁঙা বাঁধে ঝড়ে পড়া,বর্ষার চম্পা চামেলী।
সেই আমি একলা আছি,গোপন অন্ধকারে,
হারিয়ে গেছি ধূলিকণায়,বলেই দিও তারে।
আমি আছি সবুজ পাতার,শিশির কোনায়,
কখনো পরাগ,পুষ্প গন্ধে,নিজেকে হারায়।
কখনো বা পাখির বাসা হয়ে,দুলেছি বনে,
শ্যাওলা হয়ে পুকুর ধারে,ঘুরেছি আনমনে।
যখন পোড়া ছাই রূপে,গ্রাম্য শ্মশানের ধারে,
পড়ে থাকি আমি,বহুকাল দেখি নাই তারে।
আবার গিয়েছে বেলা,জোয়ার এসেছে নদে,
ভেসেছি আবার আমি,ঢেউ ভাঁঙি পদে পদে।
আবার হারিয়ে যাওয়া,তোমার স্রোতের ছন্দে,
ভ্রমরের মধু পানে,অজান্তে মিলনের আনন্দে।
শান্তিভঙ্গ করেছ তুমি,এই স্তব্ধ বিদায়সম্ভাষণে,
হারিয়ে গেলে কেন,বলো কোন সে অভিমানে।
বদলে যেতে তুমি,মেঘ থেকে হতে বৃষ্টির ধারা,
হারিয়ে যাওয়া পাখি,তবে কেন সংসার ছাড়া?
আজ আমি,তোমারে দেখি,সবারই মাঝারে,
বিদায় বেলায়,উবে যাবে প্রাণ,শঙ্খ বাজারে।