এই পৃথিবী তোমাকে দিলাম,যত্ন করে রেখ্,
আজ থেকে তোমার দায়িত্ব,তারে তুমি দেখ্।
সবাই চলে গেছে,শান্ত ধরণী একা বসে কাঁদে,
চোখের জলের ঝর্না ধারা,মায়ার বাঁধনে বাঁধে।
কষ্ট নাই,দুঃখ নাই,নাই কোনো সামাজিক ধর্ম,
খোলা আকাশ পড়ে আছে,সবই পাপের কর্ম।
নতুন করে ভালবেসে তুমি ,নতুন গল্প লেখ্,
এই পৃথিবী তোমাকে দিলাম,যত্ন করে রেখ্।
তোমার সূর্য,তোমার চন্দ্র, একা একা চেয়ে রয়,
দিন রাত্রিও বদলে গেছে,নতুন বাতাস বয়।
পাহাড় গুলো একাই কাঁদে,ঝর্না ভরা জল,
মেঘের মেলায় ভিড় লেগেছে,চক্ষু ছল্ ছল।
নতুন নিয়মে মেঘেরা ডাকে,নতুন কিছু শেখ্
এই পৃথিবী তোমাকে দিলাম,যত্ন করে রেখ্।
আকাশবাণী যেদিন হবে,করিস না যেন ভয়,
নইলে দেখিস কাঁদবে হৃদয়,শুরুতেই অবক্ষয়।
সাগর আবার হাসবে হেথা,রবেনা ঘোলা জল,
সবুজ হৃদয় উঠবে জেগে,ভরাবে পদতল।
ক্লান্ত হয়ে বসে আছে,সুপ্ত আগ্নেয়গিরি খাদ,
তোর কবিতায় তারা কেন,পড়বে আজি বাদ?
পুরানো সেই দিনের কথা,নতুন করে লেখ্,
এই পৃথিবী তোমাকে দিলাম,যত্ন করে রেখ্।
ভাঙা মন বারে বারে,খুজবে হয়তো তোমাকে,
চলে যাওয়া ভরা যৌবন,কাঁদায় বুঝি আমাকে।
কে আপন?কে পর?আর যে কিছুই নাই,
কল্পনার এই রঙিন কাগজ,পুড়ে হোলো ছাই।
ছাইয়ের মাঝে তোমায় খুজি,মন ভরে না তাতে
সারা জীবন বাঁচতে চাই,এই পৃথিবীর সাথে।
ভালবাসার নতুন চাদরে,কোমল হৃদয় ঢেক্
এই পৃথিবী তোমাকে দিলাম,যত্ন করে রেখ্।
এখানে আজ সবই আছে,নাইকো মানবজাতি,
ভাইরাস গুলো করে দাঙ্গা,ঘুণ ধরেছে পুঁথি।
তারাই রবে বিশ্ব জুড়ে,তারাই করবে রাজ,
পড়ে রইবে সকল সৃষ্টি,শুধু মমি তৈরির কাজ।
নতুন করে কফিন গুলি,মাখবে আবার রং,
নতুন লিপি জন্ম নেবে,দেখবি কতো ঢং।
আমার কফিনে,আমার নামটা,বাংলাতেই লেখ্
এই পৃথিবী তোমাকে দিলাম,যত্ন করে রেখ্।
সৌর জগৎ ধংস হবে,আসবে ধেয়ে ঝড়,
উল্কাপিণ্ড বিঁধবে হৃদয়,সদায় রক্তাক্ত কলেবর।
সূর্য তখন পোড়াবে মাটি,পোড়া মাংসের গন্ধ,
জ্বলতে দেখি এই জগতের,সব ভালো মন্দ।
পাগল হয়েছে সৃষ্টিকর্তা,একাই হেথা রবে,
আশা করি একদিন,পৃথিবী আবার শান্ত হবে।
সেদিন তুমি ইচ্ছে করে,আনন্দে রং মেখ্
এই পৃথিবী তোমাকে দিলাম,যত্ন করে রেখ্।