শুধু সে এখন, আমার জন্য অপেক্ষা করে,
নীরবতার ভীড়ে,কখনো বা ব্যস্ত জীবনে,
জীবনে চলার পথে,বাস্তবের সত্যকে আগলে।
আমি দেখেছি, তার চোখের,কান্না-হাসির লুকাচুরি,
অনুভব করেছি,দগ্ধ মনের যন্ত্রণার দাবানল।
কখনও সে বন্ধু হয়ে,মনে সাহস যোগান দেয়,
কখনও আবার,দুঃখের সমব্যথী হয়ে,গলে পড়ে।
মনের মন্দিরের,একমাত্র মানুষ যখন দূরত্বে রয়ে,
সে ব্যথা উপলব্ধি করার মতো,কেউ নেই তার,
আছে শুধু,রঙিন কিছু বাঁধানো স্মৃতিচিহ্ন ।
কখনত্ত সে রমণীর বেশে,জড়িয়ে ধরে আমায়,
আবার মায়ের মতো,অছিলা কথায় মন ভোলায়,
সেবা করে,যখন একলা জ্বরে ঘুমিয়ে থাকি,
কোমল স্পর্শে, হাত বুলিয়ে দেয় মাথায়।
জীবনে কিছুই, চাওয়া পাওয়া নেই তার এখন,
জীবনটা যেন বদ্ধ এক জলাশয়,জন্মেছে শ্যাওলা,
শুধু মাঝে মাঝে,শান্ত বাতাস,বয়ে যায় জলে।
আঁকিবুকি কেটে,কি যেন বোঝাতে চায় তাকে,
কিছু সময়ের শান্ত অনুভূতি,চঞ্চল করেছে মন,
হয়তো অশান্তের ভিড়ে,শান্তিকে হাতড়ে মরে সে।