এতো পথে ঘুরে ঘুরে,এই নিরালায়,
আজ মনে হয়, সবাই যেন অচেনা,
যেন দহনের পর,পড়ে থাকা ছাই,
পৃথিবীতে মোর,আর যেন কেহ নাই।
তবু আজকের,দিন গুলো মনে রবে,
ইতিহাস শুধু,ব্যর্থ শহরের,কথা কবে।
আমাদের এই ইচ্ছা গুলো,বন্দী হয়ে,
ইঁট পাথরের দেওয়ালে,লুকিয়ে রবে,
গরমের শুকনো ছবি,বর্ষিত কাননে,
টিকিয়ে রাখবে কি?তোমার গগনে।
পড়ে থাকা ভেজা বই,সাঁতারুর মত,
কূল নাই,দিক হারিয়ে,ভিজবে কতো।
ওরা সুধু বই নয়,পেটে যোগায় ভাত,
না খেয়েই থাকে বুঝি,বসে সারা রাত।
শহরে গলির কুকুর,ঘেউ-ঘেউ করে না,
পথে বসে ভিক্ষারি,মরেও যেন মরে না।
চেনা চেনা সেই পথ,হয়েছে যে অচেনা,
মরে গেলে শোধ হবে সব,দেনাপাওনা।
কাক নাই শহরেতে,থাকবে ভালো মন্দ,
দিনেরবেলা,হাতড়ে মরে,যেন সে অন্ধ।
গির্জা,মসজিদে,পড়েছে বড়ো তালা,
ভগবানের গলে আজি,শুখনো মালা।
ধূপ দেওয়ার কেউ নাই,নাই পুরোহিত,
একা মেঘে দেখা দেয়,রাজা ইন্দ্রজিৎ।
প্রেমিক,প্রেমিকার দেখা নাই,ঐ বাগানে,
জলে প্রেম ভেসে গেছে,করোনার উজানে।
পথের পাঁচালি কথায়? কুলু এেঁটেছে,
লাল সবুজের ধান্দায়, মাথা কেটেছে।
গ্রামের মাটির মানুষ,মাটিতে বসে কাঁদে,
উড়ে গেছে চালচুলো,নতুন ঘর বাঁধে।
চাষী কি ধরবে হাল,আবার চষবে মটি,
একটু সহানুভূতি,তারে রাখবে পরিপাটি।
কুমোর কি গড়বে কলস,নোনা মাটিতে?
গ্রাম্য পশু ভয় পাবে কি,তোমার লাঠিতে?
ভরেছে উঠোন জলে,পানের উপায় নাই,
নোনা জল বাঁধ ভেঙেছে,ঘরেই তরী বায়।
ঘর বলে কিছু নাই,আকাশ হয়েছে ছাদ,
পেটে বড়ো ব্যথা নিয়ে,হলো সবই কাজ।
এ যে বড়ো কাজ,মৃত শরীরের হলো গতি,
যেন সমুদ্রের অথই জলে,ঝিনুকের মতি।
এক কাপড়ে স্ত্রী,ছেলে,মেয়ে ও বুড়ি মা,
ভেজা গায়ে,করে সন্ধায়,মৃত্যু কামনা।
ডুবছে ছানা,মিডিয়া ফটো নিতে ব্যস্ত,
মরা বাঁচা সবই সমান,খবর হবে মস্ত।
কিছু টাকার জন্য,দারিদ্রের ছবি তোলা,
কে বুঝতে চায়,সত্যি,এদের অবহেলা।
উপকারীকে সবাই মনে রাখে,রাখবে,
গরিবের সঙ্গে সেলফি,মিডিয়ায় থাকবে।
শুধুই বিনোদন,বিতর্ক,মুখেই মিষ্ট ভাষণ,
আবার সকালে নাস্তা করে,করে অনশন।
ব্যর্থ জীবনের দাম,জানে শুধুই জীবন,
মরা জীবনের প্রতিবাদে,বসে কাঁদে মন।
নিজ দেশে মরার ইচ্ছে,সব ছেড়ে আসা,
এটা নয় কি,দেশের প্রতি তার ভালোবাসা?
মনে রেখ্,যদি মরে যাই,কাঁদবে না তুমি,
কাকে দোষ দেবো বলো,আমার জন্মভূমি?