স্বামীতে মিল ছিলো
ঠাকুর বিশ্বরাজ গোস্বামী
সুন্দর ঘর ছিলো, প্রেমিক বর ছিলো,
কাজেতে ত্বর ছিলো,জর ছিলো দামিটা,
মধুর বুলি ছিলো, নয়ন জুলি ছিলো,
নামটি দুলি ছিলো, কুলিছিলো স্বামীটা।
সুখটা বেশ ছিলো, প্রেমের রেষ ছিলো,
শ্যামল দেশ ছিলো, কেশ ছিলো কালোটি,
লোকেরা বলছিলো, সুন্দর চলছিলো,
সুখের ফল ছিলো, জ্বলছিলো আলোটা।
মুখেতে হাসি ছিলো, মোহন ফাঁসি ছিলো,
তুলার রাশি ছিলো, দাসি ছিলো কাজেতে,
শাড়িতে জরি ছিলো, তাইতো অরি ছিলো,
প্রাণেরশ্বরি ছিলো, পরি ছিলো সাজেতে।
চুলটা দুল ছিলো, এখানে ভুল ছিলো,
ঘাতের মূল ছিলো, তুলছিলো ফুলটা,
মৃদুল গান ছিলো, বিধির দান ছিলো
প্রেমের বান ছিলো, জান ছিলো কুলটা।
একটা লোক ছিলো, মনেতে ঝোক ছিলো,
সম্ভোগি জোক ছিলো, পোক ছিলো নষ্টের,
স্বজোরে ধরছিলো, চরিত্র হরছিলো,
লাশটা করছিলো, মরছিলো কষ্টের।
এমন ভালে ছিলো, বালার হালে ছিলো,
দুষ্টের জালে ছিলো, মুখে ছিলো আনটা,
দাহটা করেছিলো, স্বামিটা ঘরে ছিলো,
সমনে ধরেছিলো, হরেছিলো জানটা।
লোকটা ভালো ছিলো, জীবনে আলো ছিলো
দেহটা কালোছিলো, মালোছিলো জাতিতে,
মধুর মানছিলো, বধূতে টানছিলো,
জানের জানছিলো, বানছিলো ছাতিতে।
দুজনে যাত ছিলো,শান্তির ছাত ছিলো,
যমের হাত ছিলো, শাত ছিলো দমনে,
স্বামীতে মিল ছিলো, প্রেমের খিল ছিলো,
মধুর দিল ছিলো, গিল ছিলো সমনে।