মিল নিয়ে দু'টি কথা
ঠাকুর বিশ্বরাজ গোস্বামী
মিলকে আমি চার ভাগে ভাগ করেছি
যথাঃ-
১/ সর্বত্তোমমিল
২/ উত্তমমিল
৩/ মধ্যমমিল
৪/ অধমমিল
সর্বোত্তমমিল কবিতা লেখার নিয়মঃ-
প্রথম মিলে শেষে যে দৃশ্যবর্ণের থাকবে
পরবর্তী জোড়নে সেই বর্ণ হতে হবে
আর যে কার থাকবে সেই কার পরবর্তি জোড়নে রাখতে হবে
যেমন
যেমন মিলের বর্ণে যদি প্রথম ুকার থাকে
জোড়নে ূকার হবে না, ুকার হোতে হবে
এবং মিলের শেষ বর্ণ যদি ণ থাকে
তাহলে পরিবর্তী জোড়নে ণ রাখতে হবে ন হবে না।
এই ভাবে মিলে প্রথর যুক্ত অক্ষর থাকলে, জোড়নে যুক্ত অক্ষর রাখতে হবে
আর মিলের প্রথম বর্ণে যে কার থাকে
পরবর্তী জোড়নে সেই কার রাখতে হবে
যেমন
িকার থাকরে িকার, ীকার থাকলে ীকার
হতে হবে বর্ণ যা-ই হোক ূ কার থাকলে ূ কার রাখতে হবে ু কার রাখলে হবে না।
যেমনঃ-
রণ/ ক্ষণ
আঁকি/ ফাঁকি
তীরে/ নীরে
সন্ধ্যাগ্নি / বন্ধ্যাগ্নি ইত্যাদি
মূল/কূল শূল ইত্যাদি
বিঃদ্রঃ-
সর্বোত্তমমিলে লিখেলে প্রতিটি মিলই
সর্বোত্তমমিলে অবশ্যই লিখতে হবে
এবং
কবিতার শিরোনামের নিচে
সর্বোত্তমমিলে লেখা এই কথাটি লিখতে হবে।
উত্তমমিলে লেখার নিয়ম-
চরণান্তে বা চরণ মধ্যমিলে
প্রথমে লাইনে যে শব্দ থাকবে সেই শব্দের সংগে
পরবর্তি জোড়ন মিলে থোতে হবে শেষশব্দের উচ্চারণগত এক শব্দ যেমনঃ-
প্রথম লাইনে শব্দ আছে দেশ পরবর্তি জোড়নে
হবে শেষ
বা
পরশন / দরশন, বরষণ ইত্যাদি
বা
আমার/ থামার, খামার জামার, ইত্যাদি।
-------------------------------------------------------------
মধ্যম মিলঃ-
এসে/ দেশে, মেসে, ভেসে ইত্যাদি
সাঁঝ/ কাজ, বাজ, লাজ ইত্যাদি
বা
প্রীতি/ স্মৃতি, কৃতি ইত্যাদি
--------------------------------------------------
অধমমিল
বুক/দুঃক্ষ, দুখ
মনে/ সনে, রণে
ভ্রান্তি / শান্তি
ত্রাস / শ্বাস, বাস
অভিলাষ / সাবিলাস ইত্যাদি
এবং
ব্যবহারের কারণে
ধরে / জ্বরে, স্বরে অধমমিল হতে পারে।