কাব্যবাণী
(চম্পকছন্দে লেখা)
ঠাকুর বিশ্বরাজ গোস্বামী
স্বরবৃত্তে সুর মাত্রাবৃত্তে মাত্রা
অক্ষরবৃত্তে অক্ষর মূল,
উচ্চারণ ধ্বনির ফাঁকে অক্ষর,
কখনো এ কথা নয় ভুল।
মিল ছন্দ বৃত্তে নিদারুণ ফাঁক
দেখ সকল হিসাব করে,
বলয়কে বৃত্ত বলে কবিতায়
ভেবে একাকি নীরব ঘরে।
ছন্দ আছে কাব্যে অনেক প্রকার
পয়ার ত্রিপদী আরো ছন্দ,
মিল অর্থেই ঠিক মিলন করা
মিলে আসে দোলা নয় মন্দ ।
মিল তিনটি প্রকার কবিতায়
উত্তমমিল মধ্যমমিল,
আরো আছে অধমমিল কাব্যতে
শ্বাস্ত্রের ভিতর অনাবিল।
সর্বোত্তমিল নামেই বর্তমানে
আর একটি মিল রয়েছে,
চরণান্তিক মিল এইটি ধরে
চারটি ধরনের হয়েছে।
বর্ণ ও অক্ষর গুলি নয় এক
বর্ণের খেলা কবিতাময়,
বর্ণে বর্ণে হয় শব্দেরই সৃষ্টি
শব্দের মাঝে অক্ষর রয়।
স্বরবের্ণই মুক্তবর্ণ রাখো জেনে
ব্যঞ্জনবর্ণকে বদ্ধই বলে ,
মুক্তবর্ণ বদ্ধবর্ণ এক মাত্রা
স্বরবৃত্তের লেখাটি হলে।
মাত্রাবৃত্তে মুক্তবর্ণ এক মাত্রা
অক্ষরে থাকলে একবার,
দুইমাত্রা হয় বদ্ধবর্ণ গুলি
কবিতাতে ভিন্ন নয় তার।
অক্ষর ও বর্ণ নয় এক রূপ
কবিতারই কাব্য মেলায়,
বুঝলেই হবে মাত্রা গোনা ঠিক
সুসাহিত্যে বর্ণের খেলায়।
কবিতার অক্ষরকে বর্ণ বলে না
অক্ষরবৃত্তেই অক্ষর মূল,
বদ্ধবর্ণ অক্ষর মাঝে এক আর
শেষ দুই মাত্রা নয় ভুল।
প্রথমেই দুটি মুক্তবর্ণ থাকলে
প্রতিটি এক মাত্রায় গোনো,
বর্ণবৃত্তে আর ঐ অক্ষরবৃত্তে
নিয়মের ফাঁক নেই কোনো।
তিনবৃত্তে শব্দের প্রথম বদ্ধবর্ণ
পাশাপাশি যখনই পাবে,
প্রতিটি এক মাত্রার হিসাবেই
কবিতায় শুধু গোনা যাবে।
মাঝেতে থাকলে দুটি বদ্ধবর্ণ
এক মাত্রায় হবে গুনতে,
তবেই হবে সহজ বর্ণ অক্ষরে
কবিতার জালটি বুনতে।
শ্বাসাঘাত হয় যেখানে সেখানে
পর্ব শেষ শাস্ত্র তাই বলে,
কবিতার বেলাতে এমন নিয়মে
যতিটির ব্যবহার চলে।