বন্ধুবর সানিয়াত হাসান কে কবিতাটি উৎসর্গ করছি।
ভদ্রলোক সুদর্শন। মিতভাষী।
তবে দিন আর রাতের একটা ব্যপার আছে।
বড় তাজ্জব কথা বললে !
সুদর্শন মুখের আবার দিন-রাত কি ?
ভাবিয়ে তুললে দেখছি! ডাক্তার জেকিল আর মিস্টার হাইড, পড় নি বুঝি ?
তুমি কোন গোত্রীয়?
তোমাকে তো সেই ফ্ল্যাট-রেট
পার্কিং এই দেখছি !
কিরকম ?
না তেমন কিছু না। বৌ বেরিয়ে গেলে ঘরে ঢুকছো, বলছো, আচারসর্বস্ব সমস্ত কথাবার্তা।
জেনে রেখো, আমার সময়ের দাম আছে!
আহা, সে তো জানে সব! তুমি আমার কৃতঘ্ন প্রেম,
যাকে যত চিনছি, ততই ভুলছি।
আর তোমার বৌ ?
সে বড় শক্ত ব্যাপার
হা- বিয়া দোজখ আর হুদাই বিয়ার সন্ধির মাঝামাঝি বাস করে সে প্রপঞ্চ।
প্রপঞ্চ!
কেমন পঞ্চগড়ের মত শোনালো বোধহয় !
তোমার আমার মত এসব বায়বীয় বাষ্পে
সে রোজ ন্যাফথালিনের কাঁথা
রোদে দিতে পারে, তা জানো?
জানি, জানি সবই জানি।
ভালো গুনকেও তাতিয়ে তুলে
বেগুনের সেই মিশমিশে ভর্তা
না বানালে যেন আর চলছিল না, না ?
ভালো কথা স্মরণ করিয়ে দিলে!
সে বেগুন ভর্তার উৎসবের নাম
ছিল বসন্ত উৎসব।
পদ্য ছিল , গদ্য ছিল ,
সুর ছিল , আরো কত কি !
বেশ তো ! ভালো কথা তো !
না না , খুব বেশি ভালো কথা নয় !
ওসব বেশি ঘেঁষতে দিলে পড়াশোনায় ধ্যানস্থ ঋষিমন নৈঋত কোনে উর্দ্ধগামী হবেন।
সত্য করে একটা কথা বলত আমায় !
কবিতা কি পরকীয়া?
না তা ঠিক না।
তবে খুব প্রত্যক্ষযোগেও ধারণযোগ্য নয়।
এব্যাপারে তোমাকে বাঁশ - পো- রা
বলতে পারবে ভালো।
বাষ্প এলো আবার কোথা থেকে ?
না, ঠিক বাষ্পের কথা বলিনি বোধহয়।
বাঁশের মধ্যে লম্ফ ঝম্প মান
অভিবাসী পুত্রগণের কথা বলছি।
হায় হেথা বসন্ত, হায় কোথা হসন্ত !
কহিলা যেসব পুত্রগণ
তৎপর বিকাশিলা বিকাশে।
তা যা বললে, মনে হল
অনতিবিলম্বে হুদহুদ পাখি
আসিয়া পড়িল।
ভুল বললে। অভিবাসী জীবনে থাকো।
হা-বিয়া আর হুদাই বিয়ার সন্ধিতে !
আখেরে কাজে দেবে।