ভাষার প্রাইভেট টিউটর এসেছে।
মামামনির ঠিক করে দেয়া প্রাইভেট টিউটর।
মামামনির সহপাঠী।
ভাষা মাসীমণিকে খুব ভালোবাসে।
মাসীমণির বায়োলজি ল্যাবের জন্য
তেলাপোকা সংগ্রহ করতে বলা হয়েছিল কলেজ থেকে।
ভাষা খুঁজে খুঁজে এপার্টমেন্টের আনাচে কানাচে থেকে
খান দশেক তেলাপোকা জোগাড় করে
রেফ্রিজারেট করে রেখেছে।
"বাবা, আমাদের মিস খুব কড়া।
ব্যাঙ কাটার সময় নাকে কাপড় দিয়েছিলাম,
আমাকে ল্যাব থেকে বের করে দেবার হুমকি দিয়েছে। "
বাবাকে মাসীমনির অনুযোগ।
তেলাপোকা কাটা প্র্যাক্টিস চলছে বাসায়।
বাবা বলছেন, "একি ! এতো শুকিয়ে মুচমুচ করছে!"
জিহ্বা, পরিপাকতন্ত্র, সাদা রক্তের তেলাপোকা।
ভাষা খুব আশা করে মাসীমণি একদিন বড় কিছু হবে।
তাকে সে পড়াশোনায় মনোযোগী দেখে।
হয়তো প্রেরণা দেবার মত।
সেদিন ভাষার কচি ভাইটার পায়ে
ডালের বাটি উল্টে গিয়েছিলো।
আকাশ বন্ধ করে দেয়া মুখোমুখি এপার্টমেন্ট,
কাঁদতে থাকা শিশু কোলে নিয়ে
ভাষার মা বারান্দা থেকে মুখোমুখি বারান্দার
গৃহবধূর সাথে কথা বললেন।
"ভাবী, একটু লোশন দিয়ে দেখবেন তো! হয় তো উপশম হবে।"
খুব অদ্ভুত এই শ্বাসরোধী অববাহিকার জীবন।
খুদকুঁড়োর গল্প। অথবা মধ্যবিত্ত সংসারের উনুনের।
যার ফুটতে থাকা হাঁড়ির শেষ চালটিতেও
একটা আস্ত জীবন ঢুকিয়ে দেয়া যায় স্বচ্ছন্দে।
জুন ২৩, ২০২২