বেলকুঁড়ির শুভ্রতা কেমন বল তো ? শুভ্রতর ভাতের দানার মতন।
প্রচন্ড অবসাদগ্রস্থ দিনের শেষে নিজের ইচ্ছেগুলিকে বলা যায় যাকে
আঘ্রানে, নীরব ইচ্ছেপ্রাপ্তির সম্মতির ভেতর।

তবুও তো ইচ্ছে মরে।  বেলকুঁড়িও !

হ্যাঁ।  জন বিশেক প্রাপ্তিযোগের সম্ভাবনা দূর হয়ে গেলে দেখতে পাই,
একটি মাত্র কুঁড়ি ছিল , চারা যখন লতিয়ে উঠছে।

আধুনিক পড়শীর জিহবা গুলো অদ্ভুতুড়ে ধরণের।  আগেকার কিছু আর
অবশিষ্ট নেই।  কোরবানের কোরবানী মেনে নিয়ে তবে পড়শী।  খড়গহস্ত।

বাঁচতে পারবে তো? এভাবে ভাবলে তো বেঁচে থাকাই দুরূহ। কষ্টসাপেক্ষ।

বাঁচা মরা তোমার হাতেও নেই , আমার হাতেও নেই।  যে জীবন বাঁচার জন্য
তোমায় আমায় মাপছে, তাকে স্মরণ করিয়ে দিও সেও নিতান্তই একপেশে।
আমার মূল্যবোধকে কোরবানী দিতে বাধ্য করিয়ে তার রাজত্ব শুরু।

যেখানে আর যাই হোক, ময় মুরুব্বী ধর্তব্য জ্ঞান ঠিক শ্রদ্ধা বোধ নিয়ে আসেনা।

কোথায় যাবে তবে ?

আমার যাবার জায়গা একটাই।  সাড়ে তিন হাত মাটি।  জীবনে যে ঋন শোধবার
কথা ভাবিনি, কেউ এসে টুঁটি চিপে ধরে সেই জায়গাও ছিনিয়ে দিতে চাইছে।

একলা মরবার কথা ভাবতে পারো?

মরবো তো একলাই।  ভাবি, শুধু কাফনের কাপড় কেনবার সাধ্যের কথা।  কলিকাল
সর্বস্ব কেড়ে নেয়, জীবিতেরও, মৃতেরও।  বিবমিষার হিকমত পূর্ণ জীবনের খুদকুঁড়ো।

গভীর রাতের উল্টো লেখার প্রতিশ্রুতি।।