তুমি মূল প্রশ্নের ধারেকাছেও ভীড়তে পারো নি এখনো
তুমি বললে। তোমার কণ্ঠে একধরণের আত্মবিশ্বাস ছিল।
তুমি ঠিক কোথায় কোথায় আমাকে ভুল পাচ্ছ?
আমি তো ভুল -ঠিক, কিছু বলিই নি এখনো !
তোমার জ্ঞান অপরিপক্ক।
পরিধি সংকীর্ণ।
বিষয়বস্তু একঘেয়ে।
যা লিখছি, তা লিখবার প্রয়াসের অনুপ্রাস বলতে পারো মাত্র।
তবে, এটাও ঠিক যে,
এবং আমি এটি জোরালো ভাবে অনুভব করি যে
এইটুকু অতিক্রম করতেই আমি খসে খসে পড়ে যাচ্ছি,
পলেস্তারা খসা সময় জুড়ে ।
আমি সরাসরি যন্ত্রনা গুলোকে স্পর্শ করতে ভয় পাই।
তবে আমি যন্ত্রনাগুলোর অস্তিত্ব বুঝি।
মানব জীবনের ক্ষত গুলো একেকটা
ছিন্নবিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া সাবানের মতো ,
বা শতছিন্ন স্পঞ্জের মত
বোঝা বা বোঝার মতো দায়িত্বশীল হয়ে ওঠবার আগেই
একটা প্রচ্ছন্ন সাবধানবানীর মতন যবনিকাপাত।
তবুও সেখানে দাঁড়িয়ে,
আগামীকালের সূর্য দেখবার শক্তি সঞ্চয়ে বলতে হয়,
সময়ের কাছে যুক্তির বা স্থিতির কথা , ধাতস্থ মনে।
আমি একটা অধরা আঁধারে খুঁজতে থাকি তোমাকে,
তোমার স্পর্শ, তোমার ঘ্রান, তোমার চিবুকের আদল
প্রচন্ড ব্যথা আর অস্বস্তির মধ্যে ,আমি ক্রমাগত খুঁজতে থাকি,
অজানা আনন্দের মধ্যেও, বেদনার মধ্যেও,
একটা ঝোড়ো আবেগ শীতল হয়ে গেলে
যে চোখ ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে পড়ে,
সেদিকে তাকিয়ে ক্রমাগত স্বগত কথন ,
অন্তর্গত শিউরে ওঠা বোধের উদয়ে ,
এক জীবন ফুরিয়ে গেলো প্রায়,
অনিবার্য জলের মধ্যে ডুবুরী পংক্তির এক তারাখসা আনন্দে !