বসবার ঘরটিতে কোনো ঝাড়বাতি নেই,
কোনো কালেই ছিল না।
সোফাসেটটিও পুরোনো।
জানালায় ভারী রঙ্গীন পর্দা ঝুলছে।
হালকা নীল রঙের ডিসটেম্পার
বরাবর ভালোই লাগে।
আর ভালো লাগে হালকা কোমল বাতিগুলো,
যা চতুর্দিক একেবারে ধাঁধিয়ে তোলেনা,
বরং
হালকা আলোটা ঘরটাকে ছুঁয়ে থাকে।
আমার গৃহসজ্জায় কাঁচ আর আয়না,
বরাবর ভালো লাগে।
ময়ূরের পালকের মতো
খাঁজকাটা একটা বেডসাইড ল্যাম্পের ভেতর
আঙ্গুল দিয়ে ছোঁয়া যেত আনন্দের দিনরাত্রির গাঁথা । নিত্যদিনের নিদ্রাপ্রহরের সুখসঙ্গী।
কাল যখন হাঁটতে হাঁটতে পথের
মোড় ধরে বাড়ী ফিরছিলাম,
বাড়ী ফিরছিলো হয়তো ঝাঁক বেঁধে
আকাশের প্রান্তে উড়ে যাওয়া পাখীর দল।
আনমনা হয়ে আসা ফিকে দিনের গল্প।
কাগজের বুকগুলোতে ইদানিং
লাল রঙের অনেক আঁকি বুকি কাটতে শিখেছি।
কিছুটা চোখে জল আসে , কিছুটা বাস্তববোধ ,
তবে দিনশেষে একেবারে ফেলনা যে, তাও নয়।
এভাবেই হয়তো সাজবে বাকি দিনগুলি।
আমৃত্যু যেসব দিনগুচ্ছের আর সাজবার দরকার নেই।
সেদিন পথের পাশে একজন
পানির বোতল ফেরী করছিলো।
আমাকে দেখে একগাল হাসলো,
তারপর একটা পানির বোতল
বাড়িয়ে দিলো, “এটা তোমার জন্য।”
অযাচিত পথপ্রান্তে ভাবনার একটা ছন্দ আছে।
পথচারী পারাপারের সময়
ভেজা, দমকা হাওয়া ছুঁয়ে দিলে
যেরকম আনন্দ হয় , ঠিক সেরকম।
বৃষ্টির ফোঁটা গুলো ধীরে ধীরে
তীব্রতর হয়ে উঠলেও এরকম লাগতে থাকে।
কোথাও ফেরবার তাড়া নেই, তবু দিনযাপন।
যেখানে তুমি নেই,
তোমার না থাকার ভেতর
তোমার চলে যাবার শব্দ আছে।
যে তুমি আমাকে বলতে ,
আমাকে খুব খুঁটিয়ে
মনে রাখবার দরকার নেই।
জীবন দীর্ঘ সময় জুড়ে তৈরী হওয়া একটা গল্প।
সেই গল্পে ভালোবাসা থাকে ,
ঘরে ফেরা থাকে।
আর থাকে বোধোদয়ের গল্প।
কখনো সূর্যের আলোয়,
কখনো ভীষণ গোপন অন্ধকারে।
যখন ঘুমের ভেতর সেই বোধটুকুই সব।
ব্যর্থ চুম্বনের গল্প।