ঘরের দরজাটা বেশ অনেক্ষন ধরে খোলা ছিল।
আমি বন্ধ করবার চেষ্টা করিনি , বোঝার চেষ্টাও করিনি।
আমি খুব ছোট কোনো কিছুর জন্যে মারা যেতে পারি।
টাওয়ারের একুশ তলায় হারিয়ে যাওয়া একটি প্রজাপতির জন্য।
তুমি এসময় বাস্তবতার ক্লিশেকে খোঁজো।
হুমায়ুন আজাদ তোমার অচেনা।
তবে, আমারও হয়তো অচেনা।
"আমি ইকোনমিক্স নিয়ে পড়তে চাই।"
তিনি তাকাচ্ছিলেন আমার মুখের দিকে।
এবং বলছিলেন, "নাম্বার আশানুরূপ নয়।"
আমি আন্তর্জাতিক সম্পর্ক নিয়ে মাস ছয়েক চেষ্টা চালাই।
বিশ্ববিদ্যালয়ের চাইতেও, বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসগুলির কথা মনে পড়ে।
যাত্রীদের জন্য হরদম ক্যাসেট প্লেয়ার জুড়ে বাজতো, "আইজ পাশা খেলবো রে শ্যাম!"
আব্বা স্বাধীনচেতা ছিলেন।
স্বাধীনতাকামী কতটুকু ছিলেন, সে প্রশ্ন পরে।
খুব কমবয়সী আব্বার সাথে কখনো দেখা হয়নি।
কমবয়সী আব্বার সাথে দেখা হবার কথাও না।
আমার বলবার সমুদ্রগুলি গভীরতর হতে থাকে।
এবং আমি জানি সামুদ্রিক শব্দগুলোও নিরাপদে বাড়ী ফেরে।
কথা কথাকে দীর্ঘতর করে।
কথা কথাকে সংক্ষিপ্ততর করে।
হ্রস্ব বা দীর্ঘ আয়তরেখা নিয়ে প্রতিটি দিন
কখনো হয়তোবা বলবে জীবন সামান্তরিক হলে তবেই না চেষ্টা সার্থক !
আমাদের অপেক্ষার মতো।
আমরা অপেক্ষা শেষে যেখানে বাড়ী ফিরি। অগোচরে, মনে মনে।
জুলাই ২৫, ২০২৩