নাওমি শিহাব নাই একজন মার্কিন কবি যিনি প্যালেস্টিনিয়ান বংশোদ্ভূত। ফিলিস্তিনী বাবা এবং আমেরিকান মায়ের সন্তান এই কবির কবিতাগুলো খুব খুঁটিয়ে পড়া এখনো শুরু করিনি, তবে তাঁর কবিতাগুলো খুব সমকালীন, ধর্ম ও ব্যক্তিসত্বার টানাপোড়নে যেসব প্রশ্ন খুঁটিয়ে জিজ্ঞাসা করতে বৃহত্তর পরিসর লাগে, সেখানে তাঁর ভাষা খুব সাবলীল আর আশ্চর্যরকম স্বচ্ছন্দ। আমি এখানে দুটি কবিতা নিয়ে আলোচনা করতে চাই, দুটির সম্পর্কেই আমি কবির অনুমতিক্রমে বাংলা অনুবাদের প্রয়াস পাবো, আমি বাংলা কবিতার কতৃপক্ষকে সনির্বন্ধ অনুরোধ করবো, তাঁরা যেন ইংরেজী কবিতার তথাকথিত অনুযোগ তুলে এ আলোচনাটিকে বাদ দেবার চেষ্টা না করেন।
Fundamentalism বা মৌলবাদীতা প্রচন্ড স্পর্শকাতর একটি বিষয়, আজকের জটিল বাস্তবতায়। এই নির্দিষ্ট কবিতাটির রূপক পরিস্থিতি থিতিয়ে যাওয়া কষ্ট গুলো আত্মস্থ করতে গিয়ে গভীর ভাবে রেখাপাত করে শুধু। কোথাও বক্তব্যটি আলোকিত হয় শুধু , অত্যধিক মোটাদাগের জায়গা না জুড়ে। মৌলবাদীতার অনেক বৈশিষ্ট্যগুণই অন্ধচক্ষুর মত, কূপমণ্ডূকতার মত, পরের মুখে ঝাল খাবার মত, যা যুগে যুগে চর্চিত এবং প্রায় আত্মীকরণের পর্যায়ে। সেখানে এ কবিতাটি একটা স্পষ্টতার ছাপ রাখে মাত্র ,যা ইঙ্গিত করে মূল তাগিদটি কোথায় দেয়া উচিত।
Fundamentalism
BY NAOMI SHIHAB NYE
Because the eye has a short shadow or
it is hard to see over heads in the crowd?
If everyone else seems smarter
but you need your own secret?
If mystery was never your friend?
If one way could satisfy
the infinite heart of the heavens?
If you liked the king on his golden throne
more than the villagers carrying baskets of lemons?
If you wanted to be sure
his guards would admit you to the party?
The boy with the broken pencil
scrapes his little knife against the lead
turning and turning it as a point
emerges from the wood again
If he would believe his life is like that
he would not follow his father into war
Different Ways To Pray একটি সুদীর্ঘ কবিতা যা কোথাও ক্লান্তিকর মনে হয়না, এর আপাত সাধারণ হয়ে ওঠা অসামান্য বর্ণনাগুনের জন্য। এ কবিতাটির ভেতরে ছায়াগ্রস্থ কুশীলবদের পদচারণা যেন দৃশ্যমান ও অনুধাবনযোগ্য হয়ে ওঠে শুধুমাত্র এই পরিমিতিবোধ টুকুর জন্যই। এই কবিতাটির শেষ স্তবক টি বহুবার পড়া সত্বেও, প্রতিবারই মনে হয়, একদম নতুন, একদম অভিনব।
Different Ways to Pray
BY NAOMI SHIHAB NYE
There was the method of kneeling,
a fine method, if you lived in a country
where stones were smooth.
The women dreamed wistfully of bleached courtyards,
hidden corners where knee fit rock.
Their prayers were weathered rib bones,
small calcium words uttered in sequence,
as if this shedding of syllables could somehow
fuse them to the sky.
There were the men who had been shepherds so long
they walked like sheep.
Under the olive trees, they raised their arms—
Hear us! We have pain on earth!
We have so much pain there is no place to store it!
But the olives bobbed peacefully
in fragrant buckets of vinegar and thyme.
At night the men ate heartily, flat bread and white cheese,
and were happy in spite of the pain,
because there was also happiness.
Some prized the pilgrimage,
wrapping themselves in new white linen
to ride buses across miles of vacant sand.
When they arrived at Mecca
they would circle the holy places,
on foot, many times,
they would bend to kiss the earth
and return, their lean faces housing mystery.
While for certain cousins and grandmothers
the pilgrimage occurred daily,
lugging water from the spring
or balancing the baskets of grapes.
These were the ones present at births,
humming quietly to perspiring mothers.
The ones stitching intricate needlework into children’s dresses,
forgetting how easily children soil clothes.
There were those who didn’t care about praying.
The young ones. The ones who had been to America.
They told the old ones, you are wasting your time.
Time?—The old ones prayed for the young ones.
They prayed for Allah to mend their brains,
for the twig, the round moon,
to speak suddenly in a commanding tone.
And occasionally there would be one
who did none of this,
the old man Fowzi, for example, Fowzi the fool,
who beat everyone at dominoes,
insisted he spoke with God as he spoke with goats,
and was famous for his laugh.
দুটি কবিতা নিয়েই দীর্ঘ পরিসরে অনুবাদ সহ আলোচনা করবার ইচ্ছে আছে। ধন্যবাদ।