"বহুদিন ধরে সাবান ছিলোনা বলে আব্দুর রহমানের পাগড়ি ময়লা কিন্তু আমার মনে হলো, চতুর্দিকের বরফের চেয়ে শুভ্রতর আব্দুর রহমানের পাগড়ি আর শুভ্রতম আব্দুর রহমানের হৃদয় | "
দেশে বিদেশে , সৈয়দ মুজতবা আলী
আমাদের তথাগত কোনো সত্য নেই, অন্তত মুসলিম অংশে , তবুও আমরা আমাদের দৈনন্দিন জীবনের জন্য প্রতিটি গার্হস্থ্য সত্যের ভেতর অনুচ্চারণ রাখি, প্রচ্ছন্নে, অনুচ্চারণের ভেতর ঋদ্ধতায় |
আমার সত্য আমার ভেতর সর্বৈব আলোটুকু নিশ্চিত না করলে, আমি
সত্ত্বার মূল অনুভূতির প্রশ্নে হারিয়ে ফেলতে পারি, আমার নিকট ও দূরের মূল সূত্র, যা আমার সত্ত্বার সহাবস্থানকে নিশ্চিত করে, তা নাহলে আমি আমার দেহজগতের নিশ্ছিদ্র কোনো যুদ্ধক্ষেত্রের লাভ ক্ষতি, যা মূল প্রশ্নে কোথাও আমায় ধারণ করেনি, তাড়না বা তাড়িত দুঃস্বপ্ন গুলো কাটাবার সময়ে কোথাও আমায় লালন করেনি তবু মনে হয়, কেবলই মনে হতে থাকে, অনেক সুন্দর করে বললে, কোথাও হয়তো কথাগুলো বাড়ী ফিরবে | যেখানে আর দশটা কথা বাড়ী ফেরে, তার মতোই , প্রচ্ছন্নে | লোক দেখানোর প্রয়োজনে সরগরম না হয়ে উঠে | উঠোনে যে চাঁদের আলো এসে পড়ে , তা তো ত্রিকাল জুড়ে ভেতরের মমতার গুন্, যা যতই লোক দেখানো মমতার বাহবা কুড়োনোর জন্য বলবেন, ততই কথাগুলো নিজেরাই নিজেদের কুড়োতে থাকবে, যা আর কোথাও নেই, যেন কোথাও কিছু কখনোই ছিলোনা |, তার জীবিকা নির্বাহ আর দৈনন্দিনের তাগিদ ছাড়া |
আমার জানা পত্রিকা নেই কোনো, আমি রান্নাবান্নার বইও খুব একটা ঘাঁটিনা, ছেলে মেয়ে দুটো দূরে থাকে, এখন কষ্ট আরো বেশী ! মাঝে মাঝে ঘুম বা ঘুমোবার সময় অনিদ্রা সব কেড়ে নিতে চাইলে, মনে হয় আমার কি কখনো কিছু বলবার ছিল, যা শোনার সত্য সাক্ষ্য ! নামাজ পড়তে গিয়ে অনেক সময় খুব অদ্ভুত লাগে, কার জন্য উচ্চারণ, সে বিষয়েও খাপছাড়া, অনুচ্চারণের ভয়াবহ এক ক্রমাগত হারিয়ে ফেলা সাতকাহন |
আমার বাঁচতে ইচ্ছে করেনা |
আমার এখানে বাঁচতে ইচ্ছে করেনা |
আমার এখানে কখনো বাঁচতে ইচ্ছে করেনা |
মানুষের ভীড়ে হঠাৎ কোনো গাঢ়তর, বেহ্তর মুহূর্তে সন্দেহ , সংশয় না এনেও যেখানে বলা যায়, আমার জায়নামাজে তিনি ছিলেন |