মৌলি লিখছিলো তার খাতায় , একমনে অবিরাম,
বেদম এক কাল্পনিক বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে
জীবনে সততার মূল্য অনেক
সততা আর দারিদ্র্য ছিনিয়েও নেয় অনেক কিছু
জীবন থেকে খসে পড়ে আভিজাত্যের পালক ,
হারিয়ে যায় ভালোবাসা
কল্পনার আকাশ ও সংকীর্ণ হতে থাকে ক্রমাগত
তবু হেঁটে যাওয়া সে জীবনের পলকা সুতো ধরে
সম্ভাবনা আর প্রত্যাশার দিকে ,
অবিরাম এক স্বপ্নের ভেতর
অনেক গুলো ঘুমের ঔষধ খেয়ে ফেলা
যে মেয়েটি মরতে চেয়েছিলো চিরতরে,
সেও হয়তো বাঁচতে চায় শেষ মুহূর্তে
রবীন্দ্রনাথ কখনো কি জানতে চেয়েছেন
কাদম্বরী শেষ মুহূর্তে বাঁচতে চেয়েছিলেন কিনা?
সে প্রসঙ্গে হয়তো তাঁর এখতিয়ার কখনো ছিল না
প্রসঙ্গ মূলত হতাশা ও তার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সহ মৃত্যু কেন ?
তার পূর্ববর্তী কথাগুলো নিতান্তই বাচাল কথা,
বাতুল এবং অমূলক
এবং এখানেই মৌলির লেখায় ছেদ পড়ে
কল্পনার ঝুম বৃষ্টির ভেতরও বাস্তবে ফেরার তাড়া থাকে ,
আর বাস্তবতায় থাকে কষ্ট , যন্ত্রনা আর ক্ষুধা
থাকে তবুও এক অবশ্যম্ভাবী আনন্দ
বেঁচে থাকার পরম সহিষ্ণুতায় জীবনের আনন্দ ।