dedicated to Marie Howe
প্রজ্বলিত ডেকটি জুড়ে ছাই হতে থাকা, সময় নিয়ে , দাঁড়িয়ে ছিল তরুণ প্রানে সে একজনা
পরাস্ত, আর পরাহত হয়ে নেই যেথা আর অবশিষ্ট প্রাণ, সে ছিল, এক, একাকীত্বে , যুগলহীনা
অকুতোভয় এক শিখার স্বরে, কালজয়ী, যা আগ্রাসনে জ্বলে ওঠে, যুদ্ধকালীন ধ্বংসস্তূপের কালান্তক স্বর
তীব্র প্রলয় চিহ্নভারে চেনায় তারে, যুথবদ্ধ শিরোনামহীন মৃতদেহে, শোকগ্রস্থ, শোক -ভারাতুর।
তথাপি সেথা, দাঁড়িয়ে সে জন, সুন্দর আর প্রাণবন্ত, টগবগে প্রাণ
অকুতোভয় সে আজন্ম এক ক্ষুব্ধ মলয়, প্রচন্ড লয় , সমীকরণে, দুর্লভ সে প্রয়াস, প্রমান
সৃষ্টি জুড়ে সৃষ্টিকালের প্রলয়নাচন, ক্ষত্রিয়কাল
সংহত সে স্পর্ধা লয়ে, মেঘবালকের মেঘনাদকাল।
গনগনে সেই শিখার দাপট অধোগতির হয়নি সেথা, আশাহত নয় সংশপ্তকে
পিতৃব্য সে আদেশ বিনা, হঠকারি গন্তব্যে সে নয় চূড়ান্ত, হঠকারি সিদ্ধান্তে সে
পিতার স্বরে মৃতদের ভীড়ে, অনুষঙ্গকালে সেথা , মৃদু থেকে মৃদুতর, মুমূর্ষূকাল
স্বর জুড়ে সে পিপাসার্ত সময় , সেথা পায়নি দেখা , এহেন ক্ষণ অবধানে সে।
উচ্চগ্রামে স্বরে বালক জিজ্ঞাসিল, ," কহেন, পিতা , কহেন হেথা, উচ্চস্বরে
উপসংহারে নিয়ামক প্রাণ, চূড়ান্তে কি অধিষ্ঠিল ?"
হতভাগ্য সে দণ্ডপল , জানে নাই সে পিতাস্বরে
আহত আর নিহতপ্রাণ, যুথবদ্ধ নিখোঁজ ভীড়ে।
"ভাষ্যে হেথা, কহেন, পিতা !" আরো একবার ক্রন্দসী সে মুহর্তে তার
"শেষ কি হেথা ? দায়ভার তা , আমার শেষে ?"
প্রচন্ড সে নাদ জুড়ে সে শব্দ সংজ্ঞা গুঁড়োয় সেথা, শব্দের ছাই
মিলিয়ে ক্রমে রেশ রয়ে যায়, আগুনঝরা ফুলকি লয়ে, সময়-শানাই
হল্কা হাওয়া তীব্রতাতে আঁচ ঝরা সে সময়েতে, ভ্রূযুগলে, উর্দ্ধে আরো, শ্বাস প্রশ্বাস , স্বরাঘাতে
প্রমত্তা সে সময়েতে দমকা হাওয়ায় উড়ন্ত সেই এলোচুলে
পশ্চাতে রয়, রোমন্থনে হন্তারক সে অযুতকালের, জল্লাদ কোনো সাক্ষ্যে সময়,
হতাশ কোনো বিমর্ষকাল, ক্ষত্রিয়যোগ , অধিষ্ঠানে।
আসে আবার উচ্চগ্রামে কণ্ঠস্বরে
"পিতা আমার ! কি তবে আর, আদেশ শেষে ?"
যখন সেথা আরো উর্দ্ধে প্রচন্ড সে প্রলয় নাচন
গুঁড়িয়ে দিলো রাতের কোনো সত্যব্রতী অরিত্রকে
খুনী কোনো স্ফুলিঙ্গযোগ , তবুও জ্বলে, জ্বলতে থাকে, ভস্মযোগে।
উন্মত্ত সে শিখার নাচন ক্রমশ ধায় অর্ণবপোতে, প্রমত্তকাল,
প্রবল হাওয়ায় উড়তে থাকা পতাকাটির সমস্ত শোক সময় জুড়ে
অকুতোভয় প্রাণটি সেথা , নিয়ে সকল নির্বিশেষে , নেপথ্যে তা শব্দগুচ্ছে তান্ডব তা- থৈ
অস্তি-মাঝার, বৃহত্তর ,বেজোড় সেথা,ক্ষত্রিয়ধাম, অবশিষ্ট কায়াযোগে, রণতূর্যে, প্রচন্ডতায়, শব্দ মা -ভৈ।
পতিত হলো পার্থিব সে মহাকালে প্রচন্ড সে নাদ লয়ে এক প্রচন্ড সে কড়কড়ে বাজ
বালকটি, হায় ! কোথায় পড়ে রইলো সেথা, সে গতপ্রাণ !
শুধিয়ে গেলো ক্ষুব্ধ কালে সময় জুড়ে মদমত্ত পবনেতে
যজ্ঞনাদে চূর্ণ সময়ে ঘূর্ণী কালীন , অধ্যাবসায়, প্রবল উত্তাল সমুদ্রেরই শরীর জুড়ে
মাস্তুল জুড়ে শপথ নেয়া সময়ের সে মহাগ্রন্থে
টুকরো টুকরো ইস্পাতে তার শুধিয়ে গেলো, ভাগশেষে যা ভাগ্যাহত , সংশপ্তক
মহাকালের প্রলয় নাচন অনেক যুগের হালখাতারই শোকস্তবকে ফিরিয়ে দেয়া দেহাবশেষে
দিবস শুরুর উষ্ণতম আঘ্রানে কোনো তরুণ হৃদয়, অমোঘকালের দণ্ডপলের ভাগ্যাকাশে।
আজ ২৭ বৈশাখ ১৪৩১
Casabianca (1826)
The boy stood on the burning deck,
Whence all but he had fled;
The flame that lit the battle's wreck,
Shone round him o'er the dead.
Yet beautiful and bright he stood,
As born to rule the storm;
A creature of heroic blood,
A proud, though childlike form.
The flames rolled on - he would not go,
Without his father's word;
That father, faint in death below,
His voice no longer heard.
He called aloud - 'Say, father, say
If yet my task is done?'
He knew not that the chieftain lay
Unconscious of his son.
'Speak, father!' once again he cried,
'If I may yet be gone!'
- And but the booming shots replied,
And fast the flames rolled on.
Upon his brow he felt their breath
And in his waving hair;
And look’d from that lone post of death,
In still yet brave despair.
And shouted but once more aloud,
'My father! must I stay?'
While o'er him fast, through sail and shroud,
The wreathing fires made way.
They wrapped the ship in splendour wild,
They caught the flag on high,
And streamed above the gallant child,
Like banners in the sky.
There came a burst of thunder sound -
The boy - oh! where was he?
Ask of the winds that far around
With fragments strewed the sea!
With mast, and helm, and pennon fair,
That well had borne their part,
But the noblest thing which perished there,
Was that young faithful heart.
Poem © Out of copyright