তোমার চোখজোড়াকে আমার জগতের সবচেয়ে রহস্যময় বস্তু মনে হয়। সে চোখের দীঘল জলেও ভাবনার ছায়া পড়ে, শান্ত, সংযত সে দৃষ্টিতেও অপার মায়া লুকিয়ে থাকে।
আমি পেছনে দাঁড়িয়ে ছিলাম তোমার। কোনো কোনো সময় আমার খুব তীব্র ইচ্ছে হতে থাকে তোমার মাথার চুলগুলিকে স্পর্শ করবার। বেশির ভাগ সময়ই ভাবনাটা ফুরিয়ে যায় অন্যদিনের ভেতর, ভবিষ্যতের কোনো কল্পনায়।
"কি ভাবছিলে এতো?" আমি প্রশ্ন করি তোমাকে।
তুমি ঘুরে দাঁড়িয়ে তাকাও আমার দিকে। আমি তোমায় বুঝতে চাই, কিন্তু আমি তোমায় যুঝতেও চাই। সর্বগ্রাসী অনুভূতির পরিনাম খুব একটা আশাব্যঞ্জক নয়, কখনোই। তবু যখন ওই চোখগুলোর ভেতর তাকিয়ে নিজের ছায়া খুঁজতে থাকি, হতাশা সরিয়ে কোথাও বাঁচতে ইচ্ছে করে, এখনো।
রোদের ধাঁধাঁ তীব্রতর হয়। সে ধাঁধায় প্রবঞ্চক জীবনের পিপাসাগুলোর আর্তি খুব প্রলয়ঙ্করী , ওলোটপালোট করে দিতে পারে আমূলভাবেই ভাবনার মাত্রাগুলো।
"তেমন কিছু নয় আপু ! ছোট একটা স্মরণসভা। উনি তো আমাদের সকলেরই প্রিয়পাত্র ছিলেন !"
আমি হাতের মুঠোয় আমার বক্তব্যগুলোকে গুছিয়ে আনি। স্মৃতিমেদুর শব্দের বর্ণগুলো দিয়ে হৃদয় কেন সফেদ হতে পারেনা পুরোপুরি, বলতে পারো? শুধু বিবর্ণ স্বপ্নের ভেতর দিয়ে হেঁটে চলে যাওয়া বহুদূরের যাত্রায়। স্মৃতি কাতরতা নিয়ে , ভুলে যাওয়া মুহূর্তদের নিয়ে , আর সাথে নিয়ে ভুলতে চাওয়া বর্ণচ্ছটার বোধোদয়ও।
পথফেরতা আমার ভাবনাগুলো নিঃশব্দে ডুবে যায় তোমার চোখের ভেতর না পড়তে পারা কোনো এক আলোর অভ্যুদয়ের সম্ভাবনায়।
নিতান্তভাবেই বাঁচবার প্রয়োজনে, বাঁচবার কোনো বিকল্প নেই যে!
অগাস্ট ২৩, ২০২১