আমার শৈশবের দেখা ব্রহ্মপুত্র নদ
নদের পারে চলে যেতে দেওয়া
আগের অনেক কাল ।
অনেক দিনই
স্কুল থেকে ফেরবার সময় অকারণেই,
একদম অকারণেই মনে হতো,
আজ আমরা সবাই যাচ্ছি
বাড়ী ফিরে দেখবো,
আমরা আজ বুবুর বাড়ী যাচ্ছি ,
একদম হঠাৎ!
আম্মার কাছে চিঠি গুলো
এখনো ভীষণ আঘ্রানের,
মিছরির বোয়েম
বা ভীষণ ভাবে খড়ি যখন জ্বলতে চায়,
মাটির চুলোতে,
তালুতে কাঁচা মেহেদী পাতার রং
হয়তোবা একেকটা বৃহত্তর সত্যের ভেতরে
অন্তর্গত আসক্তিতেও ,
যে কারণে আমরা বলতাম,
বকরীর গোশত,
অথবা গোশতের সুরুয়া,
অন্যত্র, অন্যার্থে আলোকপাত না করে।
বাড়ী সংলগ্ন মসজিদটিতে ,
অথবা পুকুরের পাড় জুড়ে নামা
অগাধ নিস্তব্ধতা , জোনাক সন্ধ্যে
সেখানে এখনো মনে পড়ে
একলা দুপুরে, গলা জলে নেমে
বুঝতে পারছিলে,
তুমি এখনো সাঁতার শেখোইনি
তোমার কলাবেণী করা
কিশোরী মায়ের ছেলেবেলাকে বোঝার আগেই
সন্ধ্যে নামে, ঝিঁঝিঁ ডাকে, সেথায়।
চিঠিটি মুড়িয়ে রাখতে হয়,
বর্তমানের দোরগোড়ায়, অনুচ্চারিত, শেষ বাক্যে
দো'আ , আব্দুল হাদী মুহাম্মদ আনওয়ার।
জুন ১৭, ২০২২