সাবানের ফসফসিয়ে ওঠা ফেনার মধ্যে রবিবাসরীয় প্রেরণাকে খুঁজে নেবার আর শক্তি অবশিষ্ট নেই। অভাগা যেদিকে তাকায়, সাগর শুকায়ে যায়। রাত বারোটা পেরিয়ে গেছে , ঘুমের জায়গায় বড়ি, কোমলে ও কড়ি। এখন বেশ সন্তর্পনে অনবধানে রাত পেরোনোর গল্প।
বর্ণার গায়ে একটি হালকা তসরের একরঙা নীলচে শাড়ী , সে প্রসাধন নেয় কমই, কারণ হঠাৎ কোনো কিছু কারণ খোঁজার অবকাশ ঘটেনা।
এখানে পরান্মুখ আকাশ, তবুও জন্মান্ধ আকাশ, নতজানু হয়ে থাকে কোমল আনতমুখে যুগে যুগে।
কোনো কোনো মুহূর্তে জীবন পসরা সাজিয়ে বলে, এনেছি তোমার জন্য। বর্ণা এখন তেমন কোনো এক খাপছাড়া মুহূর্তে যুগসন্ধিক্ষণে , তবে তাড়াহুড়ো নেই , তেমন কোনো কিছু। হলেও চলে , না হলেও তো এই বেশ দিব্যি চলে যাচ্ছে !
আরমান একটি মধ্যবিত্ত জীবনের মধ্যরাতের তীব্র দহনদানে সিগ্রেটের জ্বলে ওঠবার মুহূর্ত। এ মুহূর্তে সম্ভাব্য একটি উপাদান। কিন্তু অসহায় বাস্তবতার কাছে আগেই সমর্পন করে সে এখন শিশুর মত ঘুমোচ্ছে। ঘুমন্ত শহরের এক জোড়া যুবক যুবতীর ঘুমের প্রিয় পদাবলী।
সম্ভাবনার, ভালোবাসার। এবং চুম্বনেরও।
হয়তো এখানে ঘাস চরে এখনো সেই সে সবুজ নালীঘাস। মেঘের খামে ভারী বর্ষণের প্রত্যুত্তর , বাড়ী ফেরে তার গুমোট হাওয়ায় একপশলা স্বপ্নের ঠাসবুনোট এনে দিয়ে।
ব্যক্তির , নৈর্ব্যক্তিকতার , আর ছায়াসঙ্গী প্রযত্নের। যুগে যুগে।