নদী - তোমার দুই পাড়ে দুই সুখ ?
সবাই বলে ওপাড় ভালো, এই পাড়েতে দুখ ,
আমার কিন্তু এপাড় ভালো, আমার চাঁদটা যে এপাড়ে !
ওপাড়টা কি ডুবে আছে গভীর অন্ধকারে ?
আমার সাথে আমার চাঁদের হয় যে কথা রোজ,
ওপাড় থেকে কেউ কোনোদিন রাখে না তার খোঁজ ?
চাঁদকে আমি ডেকে আনি , আমার ই বাম পাশে -
আমি জানি, আমার চাঁদ ও ,আমায় ভালোবাসে ।
তোমার যেমন ভালোবাসা তোমার দখিন পাড়ে -
তোমার জলের ঢেউগুলো তাই সেথায় আছড়ে পড়ে ,
জানি গো জানি, ভালোবাসায় আছাড় পিছার সুখে ,
আমার চাঁদ ও জোৎস্না নিয়ে আছড়ে পড়ে বুকে ।
আমার বুকে জড়িয়ে তাকে বলি দুখের কথা ,
অনেক কালের জমে থাকা মনের ব্যকুলতা ,
চাঁদ কি বলে জানো নদী ? বলে , তুমি নাকি সব বোঝো,
পুরোনো সব দুঃখ ভাসাও , নতুন সুখ ই খোঁজো ।
নদী, তুমি পূণ্যবতী, তুমি মন্দাকিনী -
ভাসাও কলুষ পাপ ক্রন্দন , সদা প্রবাহিনী ।
একটা কথা রাখবে নদী ? বলছি পায়ে ধরে -
চাঁদকে তুমি আমার থেকে দিওনা ওপাড়ে ,
তাতে যদি দোষে তোমায় , ওপাড় থেকে লোক -
তবে, কৃষ্ণপক্ষ ওদের দিও, শুক্ল আমার হোক ।
তুমি আমাদের বন্ধু নদী, সবার প্রিয় সখা -
তোমার বুকে তাই আমাদের , প্রতিচ্ছবি রাখা ,
আকাশেতে যাবেনা চাঁদ, আকাশ অনেক দূরে ,
আকাশ আশায় এতো বছর , মরলো ঘুরে ঘুরে ।
আকাশ বড় হিংশুটে আর মস্তবড়ো পাজি ,
পনেরো দিন বন্দী রাখে - এমন ই কারসাজি ,
চাঁদ যে আমার প্রাণের সোনা, তুমি মনের জোর ,
আমরা দুজন তোমার বুকে বাঁধবো সুখের ঘর ।
এপাড় থেকে আর যাবোনা , যে যাই বলুক লোকে,
চাঁদ আর আমি পাতবো বাসর , তোমার অতল বুকে।