অথচ খুব গোপনে আমি একজন নিঃসঙ্গ মানুষ
নিরংশু অন্ধকারে ডুবে থাকি
নিজের ছায়াও যেখানে নিজেকে ছেড়ে চলে যায় অজানা গন্তব্যে।
সেখানে অবসন্ন আমি বড় মলিন, ক্ষয়িত চোখে চেয়ে দেখি ভেতরে সবই শূন্য।
শুধুই নিঃশেষিত জীবনের ছোবড়া পড়ে আছে সুবিন্যস্ত হয়ে।
তখন আত্মশুদ্ধির চেয়ে আত্নগ্লানিই বড় হয়ে ওঠে বলে শোধরাতে পারিনা আর,
খুব গোপনে আমি একজন নিঃসঙ্গ মানুষ।

খুব গোপনে বিভ্রান্তি আমায় ভ্রান্ত করে,
রহস্য অন্য পথে ভাবায় তবু বিষ্মৃত হই বারবার,
একাকিত্ব আমায় নিয়ে ক্রুর হাসি হাসে, উপহাস করে বলে ওঠে-
তুমি নিঃস্ব, তুমি বিবর্জিত, তুমি অনন্ত অভিশাপগ্রস্ত এক ভ্রষ্ট মাকাল।
তখন মনে হয়- বৃথা মানবজনম,
মনে হয় পাংশুটে হয়ে যাওয়া স্মৃতি নিয়ে বেঁচে থাকার চেয়ে বরং আত্মবিস্মৃত হই।
খুব গোপনে আমি একজন নিঃসঙ্গ মানুষ।

'কী ভয়ঙ্কর এই নিঃসঙ্গতা, কী নিষ্ঠুর এই একাকিত্ব।
সুহৃদসখা পেয়েও যে হৃদয় বান্ধবহীন,
সে হৃদয় জানে কী যন্ত্রণাময় এই বান্ধবহীনতা'।

তবু সূচারু মুখোশে সবকিছু ঢেকে দিয়ে কি অদ্ভুত,
দেখি দিব্যি কাটিয়ে দিতে পারি সব,
এমনকি নিজেকেও ধোকা দিতে পারি খুব অনায়াসে।
একাকী নির্লিপ্ত প্রাণ থেকে সহসাই হয়ে উঠি কোনো উৎফুল্ল যুবা,
অথবা বিপ্লবী নেতা,
অথবা প্রাণপ্রিয় বন্ধুবর,
অথবা কোন তরুণীর চিবুক ছুঁয়ে দেয়া একমাত্র ভরসাস্থল
অথবা...
খুব গোপনে আমি একজন নিঃসঙ্গ মানুষ।

মানুষ ও নিভৃতের মানুষ এক নয়।