শোনেন শোনেন ভাইবোনেরা, শোনেন সুধীজন
রাজকন্যা আর রাখালের প্রেমের বিবরণ:
রাজকন্যা বড়োই অভাগীনি, বাবা নেইতো ঘরে
ডজন খানেক অভিভাবক সিদ্ধান্তহীনতায় মরে।

যেমন তার রুপের বাহার, গুণেরও নাই শেষ
এককৌটা তেল লাগবে, তেমন তার কেশ।
রাজকন্যা যখন রাস্তায় হেঁটে যায়
কিশোর যুবক বৃদ্ধ সবাই, অবাক হয়ে চায়।
কতো ছেলে পাগল হয়েছে, পাত্তা পাইনি কেউ
একমাত্র রাখাল ছেলে, তুলছে প্রেমের ঢেউ।

রাখাল ছেলে সরল বেজায়, নয়তো মাকাল ফল
সব সময়ই সত্য বলে, জানেনা সে ছল।
রাখাল ছেলে সরল বেজায়, কোন গুণই নাই
তবু সে রাজকন্যাকে মনেপ্রাণে চায়।

কতো প্রেমের প্রস্তাব আসে, আসে বিয়ের ঘর
ভাইজানেরা ভালোবাসে, বুঝেনা মনের ঝড়
দুধের মধ্যে কাঁটা খুঁজে, সাদার মাঝে দাগ
দুইজন পছন্দ করলে, তিনজন বলে থাক।

রাখালের জন্যও গিয়েছিলো, বিয়ের ঘর
প্রস্তাব নাকচ, লেখাপড়া করাবে, জানায় কদিন পর।
নাকচ করার পর রাখালের পরিবার বিষয়টি মাথা থেকে বাদ
কদিন পর শোনা যায়, তারা খুঁজছে সিঙ্গাপুরী চাঁদ।
সিঙ্গাপুরী চাঁদ ডুবলো, ভাসলো রাখালের তরী
খোঁজ নিয়ে ভালো লাগলো, ভাবলো উপায় কী যে করি।
(চলবে)