আমি হেঁটে চলেছি অ্যামাজনের কিনারা বেয়ে
ভেসে চলেছি নীল নদের সফেদ স্যাম্পেনে;
সিন্ধু নদের তীরে বিন্দু বিন্দু করে জল জমিয়ে-
তৈরী করেছি মহেঞ্জোদারো ও হরপ্পা সভ্যতা।
গন্ডারের চামড়ায়,চাবুক ভোগে ঘাম ঝরিয়েছি-
কোণার্কের মন্দির হয়ে,মিশরের পিরামিড বেয়ে
চীনের পরিখায়।
তাজ মহলের "তাজ" বাড়িয়েছে যে হাত আগ্রায়-
সেই হাত বিসর্জন দিতে হয়েছে,নকলের সন্দেহে!
'ফজরের' আগে,সজোরে ছুট,বন পথে,দিয়েছি পৌঁছে
বেলা বোসের চিঠির বাক্সে,আদুরে বার্তা নীল খামে ।
চটের বুট পায়ে,তৈরী করেছি,মসৃণ পিচ কালো রাস্তা;
ছুটছে ফোর্ড,পিষছে ঘুমন্ত শরীর ফুটপাতের কিনারায়।
সাদা দাগের বাইরে;আমি হেঁটে চলেছি অনন্তকাল ধরে
দাগ পাড়ি দিতে গেলে গাড়ির হর্ণ,স্মরিয়ে দেয় অউকাদ।
নিরো-র উদ্যান আলো করে দেহ পুড়িয়েছি নিজের
আমি পাতাল ভেদে তুলে এনেছি কঠিন কালো হীরে
দিয়েছি গতি বাহু ভরে,ট্রেনের চাকায়, বেলচার জোরে।
দেখ সভ্যতার মোড়ে মোড়ে,আমার স্বাক্ষর আছে পড়ে
দেখতে পাচ্ছো বাবু? মোটা ফ্রেমের চশমা আঁটা চোখে!
সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে আমার কন্ঠ ও কদম অগ্রজ!
পতাকা নিয়ে কাধে,সর্বহারার সর্পিল মহা মিছিলে।
তবু! ভু-গর্ভের জ্বলন্ত লাভার মতো সৃষ্টি থেকে জ্বলছি
জঠরে জ্বলছে আগুন;সবুজ লঙ্কা ও সাদা ভাতের স্বপ্নে!
বিজয়ের পতাকা উড়ছে দেখ,দেশে দেশে দিকে দিকে
গাইছে গান ঢঙ্গী রাজা-বাদশা,সারে যাঁহা সে আচ্ছা!