তোমার আমার সম্পর্কটা কী ভীষণ দুঃসহ!
তাই না সাথী ?
সম্পর্ক নামক মায়া বন্ধনে,বনলতার মতো
দুজনাতে আছি জড়িয়ে,অন্য নামে!
সেই জটালো বাঁধন ছিঁড়ে-
কোন এক মায়াবী রাতকে সাক্ষী রেখে
দুজনে কি বেরিয়ে আসতে পারিনা!
এই ধূসর পৃথিবীকে পিছনে ফেলে।
হৃদয়ের সূক্ষ্ম স্নায়ু তার ছিঁড়ে
একটা একটা করে গোলাপী রাত
হারিয়ে যায় জীবনের আয়ু হতে
দুজনের বিবর্ণ প্রতীক্ষায়।
শিল্পী শশধর,আকাশে বসে
দুজনের অসহায় মূক ছবি আঁকে-
জ্যোৎস্নার রঙ তুলি দিয়ে।
অনুসন্ধিৎসু চোখে-
রাস্তা-ঘাটে ওৎ পেতে তীব্র প্রতীক্ষায়
রাক্ষস-খোক্ষসের দল;
মুখোরোচক সংবাদটা পৌঁছে দিতে ঘরে।
ঘাতকেরা কবর খুঁড়ে-
আমাদের ভালোবাসাকে জীবন্ত সমাধি দিতে
বাঁশ ও খেজুরের ডাল মজুত ওই!
চলোনা সাথী-
সম্পর্কের সমস্ত অন্তর্বাস খুলে
দুজনে ঝাঁপ দি নীল দরিয়ায়
সম্পর্কের শুদ্ধিকরণ স্নান সেরে
বল্গাহীন হয়ে যায় উড়ে;অসীমের নীলে
সমান্তরাল রেখা দুটিকে,মিলিয়ে দিতে
এক বিন্দুতে!