তুমি বিজ্ঞান মানোনা!
হাতের মুঠোই পৃথিবীকে পুরে বিজ্ঞান বোঝোনা!
বিজ্ঞ যুক্তিবদ্ধ জ্ঞানী তিনিই তো বিজ্ঞানী!
যাকে তুমি ভগবান বলে যত কৌতুহল
অন্ধকারে দাও ছুড়ে! দীর্ঘ নিশ্বাস ফেলে;
তিনিই তো ব্রহ্মান্ডের সেরা বিজ্ঞানী।
তাছাড়া কিভাবে সাজালো বলো এমন নিঁখুত করে
গ্রহ নক্ষত্র উদ্ভিদ প্রাণিদের,কোন এলেমে?
এটাই তো বিজ্ঞান,মহাবিজ্ঞানী।
তোমার বিকলাঙ্গতা,তোমার আয়ু,অন্ধত্ব
তোমার মরণ তোমার বাঁচন এবং তুমি
হ্যাঁ তুমিই পারবে শুধিতে রুধিতে সবই
ছড়িয়ে যে রেখেছে রসদ সেই মহাবিজ্ঞানী।
পথ্য ও গরল ভান্ডার আছে সজ্জিত বিশ্ব ব্রহ্মান্ডে
পথ্য নিলে বাঁচবে,গরলে মৃত্যু হবে নিশ্চিত
তবে মিছে কেনো দোষ দাও মহা বিজ্ঞানীর
সবই তাঁর ইচ্ছা বলে।
ইউরেনিয়াম দিয়ে তুমি সৃষ্টির বিজয় কেতন উড়াবে
না করবে তৈরী ধ্বংসের ফ্যাটি ম্যান বা লিটিল বয়
সব তোমার ইচ্ছা,বিজ্ঞান দিয়েছে তুলে তোমার হাতে
তবে মহাঅজ্ঞানী,ক্ষুদে জ্ঞান ধ্বংসই করে প্রাণ অজান্তে
তাতে মহাবিজ্ঞানীর কি দোষ বলো!
আগে পৃথিবীতে ছড়িয়ে রাখা বিজ্ঞানের রহস্য ভেদো
পেঁয়াজের মতো মুক্ত করো রহস্য একটি একটি করে
তার পর মানবে নিশ্চয় সেই মহাবিজ্ঞানীর।
পৃথিবীর অবস্থান ঐ সৌরজগতে
ওহ কী আশ্চর্য! নিঁখুত তাঁর স্থাপন
পৃথিবী তার নিজ কক্ষপথ হতে
এক তিল সূর্যের দিকে গেলে হবে ভস্ম
এক চূল সূর্য হতে পিছনে এলে শুষ্ক বরফ;
কোন প্রাণের অস্তিত্ব থাকবেনা নীল গ্রহের
পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ বল যদি না থাকতো
কি হতো বলোতো? ভাবতে পারো!
প্রাণ বায়ু কি থাকতো,বৃষ্টি কী আসতো ধেয়ে
এই নীল গ্রহের পানে!
তবুও মানবে তারে শুধূ ভগবান রূপে
মানবে না যে সে এক মহাবিজ্ঞানী!