(1)

যবে খুলিবেনা  মোড়  আখি।
ভুলিবে কি মোড়ে বধুয়া।
বলো-

বলো - বধুয়া পাখি
তখন মোড়ে
দিবে কি ফাকি

হায়রে মোড় সুখের সংসার
হায় সুখের বাড়ি ঘর।
পরে রবে।
মোর বাসরে  নিঃসঙ্গতা করিবে নির্জনবাস।

বধুয়া তুমি তখন কার ঘরের আলো হবে।
কারে তুমি প্রেম বিলাবে।

আমি নভে নক্ষত্র হয়ে তখনও দেখিবো তোমারে-
মোড় আপনার - আপন পিয়াসি বধুয়ারে।

যে ঘরে ছিলো -
ভালোবাসা
ছিলো যে রঙিন আশা।
ছিলো যে সপ্নের আলো।

সে ঘর মোর হবেরে অন্ধকার-
সপ্নহীন।
হবেরে কালো।

বধুয়া- পাখি
যবে খুলিবেনা আখি মোর।
হবেরে নতুন সকাল হবেরে নতুন  ভোর।
কার হবে সকাল বেলার পাখিরে তুমি।
কার ললাটে খাবেরে চুমি।

আমি কেবল শশধর হয়ে দেখিবো আমার শশীরে।
আমার  আপনার চেয়ে আপন পিয়াসী বধুয়ারে।


(2)
যবে মুদিব আমার আঁখি।
ভুলিবে কি মোরে বঁধুয়া!
বলো...
বলো- বঁধুয়া, আমার হৃদয়ের প্রিয় পাখি
তখন আমারে 
দিবে কি গো তুমি ফাঁকি!
হায়! এ আমার সুখের সংসার 
হায়! এই সুখের বাড়ি ও ঘর।
সবই পড়ে রবে...
মোর বাসরের নিঃসঙ্গ নির্জনবাসে। 
ওগো বঁধুয়া আমার, সেদিন তুমি কার ঘরে আলো হবে!
কারে তুমি মধুময় প্রেমসুধা বিলাইবে!
আমি নভতলে নক্ষত্রের ব্যথিত নয়ন হয়ে 
দূর হতে দেখিবো তোমারে-
মোর আপন পিয়াসি বঁধুয়ারে।


যে ঘরে ছিলো ভালোবাসা 
ছিলো কতই রঙিন আশা
স্বপ্নেরা বেঁধেছিলো বাসা
সে ঘর আমার হবে যে অন্ধকার
স্বপ্নহীন, ভাঙা নীড় 
আশাহীন কালিমায় একাকার


ও মোর বঁধুয়া- প্রিয় পাখি
যেদিন খুলিব না দুই আঁখি 

সেদিনও হইবে নতুন সকাল, ফুটিবে নতুন  ভোর
ওগো প্রিয় বলো বলো! 
সেইদিন তুমি হবে কি অন্য কারও সকাল বেলার পাখি!


হায়! সে ও যদি হয় জেনো,
শশধর হয়ে আঁখি মেলে শুধু দেখিবো আমার প্রিয়তমা শশীটিরে।
আমার আপনার চেয়ে গহীন আপন পিয়াসিনী বঁধুয়ারে।।

বি:দ্র: আসসালামুয়ালাইকুম সবাই কেমন আছেন।
উপরের 1 নাম্বারের যে লেখাটা ওটা আমার লেখা একটা গীতিকাব্য।
এই লেখাটি প্রথম প্রকাশ হইছে ভারতের একটা সাহিত্য পত্রিকা থেকে তখন তারা ওই যে 2 নাম্বারের লেখাটি ওটাও আমার লেখা তারা ওই প্রথম লেখাটি ভেঙ্গে ভেঙ্গে ইডিট করে প্রকাশ করছে।

কেমন হইছে সবাই জানাবেন।
এবং কোনটি বেশি ভালো হইছে সেটাও জানাবেন।
আমার কাছে তো প্রথম লেখাটি বেশি ভালো লাগে।
আর এটা যদি একটা গান হয়ে থাকে বা কেউ যদি গাইতে চান অনুমতি দেওয়া হলো তবে রাইটারের যায়গায় আমার নাম বসাবেন।
যেহেতু  লেখাটি আমার।
সবাই ভালো থাকুন আল্লাহ হাফেজ।