আমি কিভাবে শোনাই আমার দুঃখের কথা-
আমি কিভাবে বলি আমার কষ্টের কথা।
কে'ই বা শুনিবে বিরহী'র আর্তনাদ।

অর্থহীন জীবন -
বেকারত্বের সাথে চলাফেরা।
অনিশ্চিত ভবিষ্যত -
এসবে ও যেনো মোড় কোনো মাথাব্যথা নেই।

চারিপাশে কত পকেট ভারি মানুষ -
কত রঙের জীবন তাহাদের।
তাহারা কি মানু -
না মানুষ।
সেটা জানার ইচ্ছে ও নেই।
বৈরী হাওয়ার হাহাকার বয়ে চলে।
তাহা কি কেউ শুনতে পায়-
নচেৎ না।

যাহার সবকিছু  থেকেও
যেনো কিছু'ই নেই।
তিনিও কি সুখে আছেন।

আমি বলি না-
না তাহার ভিতর সুখ থাকে
না সুখের ভিতর তিনি থাকেন।

খুব জানতে ইচ্ছে হয়।
আদৌ কি মানুষ সুখে থাকে।
নতুবা সুখের ভিতরে মানুষ থাকে।

বলো মানব-
স্বীকার যাও
কেউ সুখে নাই।

সুখ সোনার হরিণ না।
অথবা রুপার হরিণ না।

সুখ হলো মনের হরিণ।
মন সুখ খুজেঁ আর
মনের বাঘ সুখকে খেয়ে ফেলে।

আমাকে যেমন গিলে ফেললো বিরহ্।
আমাকে যেমনে  ভক্ষন করে সুখের ঢেকুর  ফেললো দুঃখ।
আহা কি স্বাদ না পেলো গো।

এখন আমার সুখের বাসর কেদে মরে।
বলে দুখের  সাগরে গেলি পরে।
শেষমেশ দুঃখ'ই তোরে ধরলো ঘিরে -
ওরে দুঃখের বাজারে।

সাতরে উঠ জীবন -
এভাবে ডুবে মরিসনে হতভাগা।
দুঃখের সাগরে।

বলি আমি দুঃখ বিরহ্ বেদনাই যদি সহিতে নাহি পারি-
তব জীবন বিলাস করতে আসিলেম কেন এই ভবে।

যদি সুখ চাহিতেম তবে সুখ পাখি হয়ে'ই তো উড়িতেম নভে।

বলি মানব অতি তুচ্ছ তুই।
অতি তুচ্ছ তোর জীবন।

সেকি জানিসনে।
তব চেয়ে দেখ পূর্বে কত।
রাজা মহারাজা প্রতাপশালী ব্যক্তিবর্গ ছিলেন।
তাহারা আজ কই।
কোথায় তাহাদের রাজত্ব।

অথবা চেয়ে দেখো তোমার পূর্ব পুরুষ'দের তাহারা'ই বা কই।

আমরা কেবল সবে।
পূর্ব।
বতর্মান থেকে পূর্বে চলে যাই।
ভবিষ্যতে ও আমরা পূর্বে চলে যাই।
বতর্মান বা ভবিষ্যত কিছুই কী থাকে?
আমরা কেবল বতর্মান আর ভবিষ্যত থেকে পূর্বে'ই চলে যাই।

তব দুঃখ তেমন মোদের জন্ম জন্মান্তরের।
অথবা উত্তরাধিকার সুত্রে পূর্ব থেকে এসে।
মোদের সাথে আবার পূর্বে চলে যায়।
আবার সে নতুন ভাবে ফিরে আসে উত্তরাধিকার সুত্রে মোদের নতুন প্রজন্মের কাছে।
যেভাবে সে চলে এসেছিলো মোদের পূর্ব পুরুষদের থেকে।
আমরাই কেবল হারিয়ে যাই।
চলে যাই জন্ম নিয়েছিলুম বলে।
মৃত্যুর ছলে।