জীবন একটা কর্পোরেট গৃহযুদ্ধ তার মাঝে পেলাম খানিক সান্ত্বনার যুদ্ধবিরতি
যুদ্ধের ধ্বংসলিলায় অবশিষ্ট বলতে আছে এ কবিতার খাতা আর মনের মুক্ত ময়দান।
সে ময়দানে তুমি যুদ্ধবাজ বিধাতার পাঠানো লোকদেখানো ত্রাণের গাড়ি
তবে যতই দ্বন্দ্ব থাকুক না কেন এক মুঠো তোমার জন্য খোদাকে জানাই কৃতজ্ঞতা।।

তুমি ছুটে চলো হয়ে দূরপাল্লার ট্রেন আমি তোমার পথের কোনো অখ্যাত স্টেশনের ক্লান্ত রেললাইনের শীর্ণ পাটাতন
যে অপেক্ষায় থাকে যদি কোনোদিন হয় লাইনচ্যুতি,দুর্ঘটনার মাশুল তোমার আমার স্পর্শ।।
এ সিগারেটে জমা ছাইগুলো হিংসায় মরে কেনো আমি তাদের মুক্ত করিনা আলতো টোকায় জ্বলন্ত আগুন থেকে
তাদের ক্ষোভ আঘাত হানে আমার নিরিহ আঙুলে পোড়া দাগ হয়ে।।

হঠাৎ হুঙ্কার করে উঠলো সাইরেনের পাষাণ গলা আবার শুরু হলো কর্পোরেট গোলাবর্ষণ কাজে ফেরার ডাক
সময় শেষ?হ্যাঁ যুদ্ধবিরতির সময় শেষ।
তুমি আবার আনমনে হারিয়ে যাও বাড়ি ফেরার পথ খুঁজে।।
ফিরে তাকাবে না জানি তবুও চেয়ে থাকি ঐ পথ চেয়ে
বিসর্জন দেই লজ্জার বাকিটুকু অভ্যাসের দাস হয়ে।।