এ তথাকথিত সভ্য সমাজের কোনো এক ব্যস্ত নগরে নিওন আলোর কর্তৃত্ববাদী আগ্রাসনে নিজের অস্তিত্ব হারিয়েছে বহু নিরীহ অন্ধকার।
তাইতো বুদ্ধিমান পুঁজিপতির মতো সময়ের সঠিক ব্যবহার করে নিজেদের বংশপরম্পরায় পাওয়া আলোকে ত্যাগ করে আঁধারের পসরা বসায় জোনাক পোকার দল। সাজায় তারা হরেক রকমের আঁধারের ফুল, ডালায় নিয়ে ফেরী করে দুর্লভ আঁধার বৃক্ষের নির্জাস,যেন হয় তারা আঁধারের ফেরিওয়ালা এ মানব মনের বাজারে।।
এ যান্ত্রিক কোলাহলে হাজারো অর্ধচেনা চেহারার জন-জটেও তোমার মন যে নিঃসঙ্গ, অর্জনের পাহাড় চূড়াতে বসেও জীবন খাতার প্রাপ্তির পাতা যে রিক্ত।
হয়ত তুমি সুখী মানুষের কাগজের মুখোশে ঢেকেছ সেসব তবে অন্তরে জমা মেঘের ঘনীভবনে সে মুখোশ যে শীঘ্রই হবে ধ্বংস।
শীতল রাতগুলো তোমাকে ঠিকই মনে করিয়ে দেয় অবসন্ন মনের অবচেতন কাল্পনিক শহরে তুমি যে কতোটা ক্লান্ত পরিশ্রান্ত।।
টাকায় কেনা দামী আতরের শিশিতে করা বন্দী বিনিময় চুক্তিতে পাওয়া কোনো বহুল ব্যবহৃত ঠোঁটে তুমি হয়তো বেঁধে রেখেছো নিজের সব শখগুলোকে।
তবে সেখানে তুমি কি পেয়েছো তাকে, যাকে তুমি চেয়েছিলে শত বছরের চাহিদায় মোড়ানো কোনো শরতের রাতের বৃষ্টিস্নাত শীতলতায়।
যাকে তুমি ফেলে এসেছো কোনো ধুলোমাখা আয়নার প্রতিচ্ছবির ঘ্রাণে,যে নিষিদ্ধ ঘ্রাণে এখনো খুঁজে ফিরো নিজেকে বিভোর মাদকতায়।।