মাঝে মাঝে ভাবি লিখবোনা তোমার উদ্দেশ্যে আর কোনো চিঠি
কেনই বা লিখবো আমি এটা জেনেও যে তা যে পৌঁছাবে না তার প্রাপকের গন্তব্যে, লুকোতে পরাবেনা নিজেকে তোমার চুলে ভিজে যাওয়া বালিশের নিচে।।
তবে তাও লিখি আমি বারবার আজ এ নিয়ে একশত উনচল্লিশ বার।
আসলে মায়া নামক এক অদৃশ্যের ষড়যন্ত্র বাধ্য করে আমায় লিখতে
মায়া নাকি মোহ? -সে বড়ই কঠিন এক প্রশ্ন।
তবে তাকে আমি মায়া নামে ডাকতেই পছন্দ করি।
যাকে আমি দেখেছিলাম এক নয়া শ্রাবণের বৃষ্টির দিনে যখন কাদামাখা রাস্তা আর ভ্যাপসা গরমে নাকাল ছিল এ শহরতলী।
তখন আমি দেখেছিলাম তাকে এক গরিব কেরানীর দু’পয়সা বেতনে হাজারখানা হিসাব করে স্ত্রীর হাতে রাঁধা খিচুড়ি খাবে বলে কেনা এককেজি পোলায়ের চালে।।
যে অতঃপর আশ্রয় নিলো সেই গৃহিণীর রাগান্বিত চোখে।।
তুমি হয়তো ভাবছো পাগল হয়েছে এ কবি
না পাগল আমি কিঞ্চিৎ তবে পুরোটা এখনো হই নি।
আমি শুধু নিজেকে সরিয়ে নিয়েছি সব বন্ধন থেকে, বিদায় নিয়েছি সব মায়ার কাছ থেকে।
তবে কেনই বা লিখছি আবার?
একি মায়া নাকি মোহ নাকি নিছক পাগলামি জেনে নিবো একদিন তোমার কাছ থেকে।।