সন্ধ্যার তারা মিটিমিটি জ্বলে তবে এখনো জাগেনি রাত্রি একদিকে মাগরিবের আজান ভাসে আরেকদিকে উলুধ্বনিতে ঘুমাতে যায় দেবী মূর্তী
তারই মাঝে দুনিয়ার সরাইখানায় মুখোমুখি বসেছে দুই পাপী ভিন্ন তাদের মতের ধরন তবে অভিন্ন মদেই ডুব দিয়ে হয় দুঃখের যাত্রী।
একজন তাদের আস্তিক বটে তবে মাঝে মাঝে পাপের পাল্লা ভারী করে খোদার কাছে যাওয়ার বাহানা করে
আরেকজন যে নাস্তিক হায় নাম নিলেও যে কেটে যাবে দোজখের টিকেট।।
সময় গড়ায় মদের পেয়ালা নাচে মাতাল হাওয়ায় আস্তিক খোঁজে খোদার স্পর্শ নাস্তিকের মনে অবিশ্বাস অবিনশ্বর
তবে দুজনের মুখে একই প্রশ্ন -"খোদা কই?"
আস্তিক বিছাইলো পুরাণের দলিল নাস্তিকের মনে তাচ্ছিল্য সাবলীল
মদের পেয়ালা ডুবে মরে হায় খোদার খোঁজে পাগল হয় মাতাল যুক্তির দোটানায় পড়ে থাকে একাকী নেশার চোখে ঘুমের দুর্বীক্ষ।।
পাগল মাতালেরা সারারাত রটে যুক্তি কঠিন, খুঁজে দেখে শহীদের বুক,ক্ষুদার্তের পেট,পতিতার ঠোঁট, শ্রমিকের হাত আরো কতো নমুনা
পায় না তবু কোনো খোঁজ কি ঘাটতি তাও জানেনা।।নেশায় চোখ লেগে যেতে চায় হটাত কানে আসে এক নবজাতকের কান্নার শব্দ নাস্তিকের নেশা কাটে জাগে মনে খোদার অস্তিত্ব
তা দেখে আস্তিক হিংসায় মরে খোদাকে করে বিদ্রুপ বলে যে খোদা মূর্খের মনে আসে তার কিসের অস্তিত্ব।।
পরিশেষে "খোদা নেই" প্রমান করতে এক নাস্তিক হয় আস্তিক আর "খোদা আছে" প্রমাণ করতে আরেক আস্তিক হয় নাস্তিক।
দূরে বসে কবিতা লেখে মদের পেয়ালা শিরোনামে প্রশ্ন "খোদা কই?" খুঁজে দেখেনি কেউই।।