আবারো আরেকটা ব্যর্থ দিনশেষে এ শহরের সব দাপ্তরিক দিনমজুরের ক্লান্তির উপহার নিয়ে তোমার কাছে ফিরলাম প্রিয় আঁধারী।
জানি তোমার বলার আছে অনেককিছু, জমে থাকা ক্ষোভ যে বৃষ্টি হয়ে ঝড়বে এখনই চোখের কাজল তোমার ঐ রক্তিম গালে গড়িয়ে পড়বে।
তারপর আরেকটা যুদ্ধের শেষে তুমি ওপাশ ফিরে শুবে
দ্বিতীয় পুরুষ আলোকে নালিশ করবে বলে গল্প সাজাবে তাও আমি জানি।।
আসলে এ সাজানো সাংসারিক খাঁচায় আমরা যেন দুটো মুক্ত গাঙচিল আটকা পড়েছি, সমাজ যে বর্ষীয়ান শিকারী।
না পারছি খাঁচা ভেঙে ডানা মেলতে না পারছি মৃত্যুঘুমে ডুবে যেতে শুধু ক্ষত-বিক্ষত করছি একে অন্যকে।।
তবে এমনটাও তো হতে পারতো,হতে পারতো একটা শেষ শরতের মেঘ ডাকা বৃষ্টিতে আধভেজা ঘাসের প্রান্তর
হতে পারতো সারাদিনের সব কষ্ট ভুলে প্রাণখোলা হাসি।
হয়তো এ অবসন্ন নিস্তব্ধতা ভুলে যেতাম তোমার ঠোঁটের স্বান্তনার সুরে।
ক্ষত নাহয় কিছু থাকতো তোমার থাকতো আমারও
তোমারগুলোয় নাহয় আমি রাঙিয়ে দিতাম স্পর্শের আলপনায়, আমারগুলোয় নাহয় রক্ত ঝড়তো।
যখন ভোরের আলো তোমার নগ্ন শরীর ছুয়ে দিতে চাইতো তুমি নাহয় তখন লজ্জা ঢাকতে আমার চাদরে।।
আমাদের ইচ্ছেগুলো নাহয় ডানা মেলে নিজেদের মুক্ত করতো এ আলোর ঝলমলে কারাগার থেকে
আমি তোমাকে আবারও হাসতে দেখতাম,বাঁচতে দেখতাম আমারই সাথে।।
হঠাৎ আলোর আগমন, পৈশাচিক অট্টহাস
ঘরের বাতি জ্বলে উঠলো ফুরালো তোমার দীর্ঘশ্বাস।
কল্পনারা সব অতীত তাই বাস্তবতায় টানলাম গল্পের রাস।
আবার দেখা হবে আধারী যখন পাবে তুমি আলোর কাছ থেকে অবকাশ।।