কুয়াশার চাদরে ঢাকা ভোর,
শিশিরে ভেজা জমিনের ঘর।
কাঁপছে ডালে সোনালি রোদ,
শীতের রঙে ছুটেছে মোহ।
শিশিরে ভেজা পাতার কোলে,
সুর্যের আলো খেলে নির্ভুলে।
রূপকথার সেই রাজকন্যা যেন,
হাসির ছোঁয়ায় আঁকছে নিজ খেয়ালে ।
গ্রামের মাঠে শিশিরের খেলা,
রোদ মেখে চলে গরুর মেলা।
মাটির ঘরে জ্বলে শীতের চুলা,
আনন্দ গাঁথে সবার মুখে ফুল।
খেজুরের রসে মিষ্টি স্বাদ,
গ্রাম্য পথে বাজে আনন্দবাদ।
শীতের উষ্ণতা মনকে ছোঁয়,
হৃদয়ে জাগজীবনের বোধ।
কুয়াশার মাঝে ঢেকে যায় আলো,
শহুরে পথে জমে চুপচাপ কালো।
ব্যস্ততার মাঝে থেমে থাকা মন,
খোঁজে জীবনের হারানো স্পন্দন।
বিকেলে গড়িয়ে রাত নামলেই,
কুয়াশার চাদর ঘিরে ফেলে হেমন্তের খেল।
শহরের দেয়ালে নীরবতার সুর,
কৃত্রিম আলোর মাঝে চঞ্চল যুগ।
শহরে কেবল কোলাহল ভরা,
শীতেও ব্যস্ততা থামে না ধরা।
ইট-পাথরে চাপা সুখের হাসি,
মনে পড়ে গ্রামের আঁকাবাঁকা রাসি।
শীতের হিমে খুঁজে নিঃশ্বাস,
আলস্য ভাঙে না কল্পনার বাস।
মনে পড়ে দূর গ্রামের স্মৃতি,
যেখানে সুখের গান গায় প্রকৃতি।