ঠাকুমায়ের ঝুলি খুলে
সেদিন নিঝুম রাতে,
পাড়ি দিলাম তের নদী
পঙ্খিরাজের সাথে।

সাত সমুদ্র পাড়ি দিয়ে
রূপকথারই দেশে,
বাঁধা ধাঁধা পেরিয়ে সব
পৌঁছে গেলাম শেষে।

দেখতে পেলাম সবুজ আকাশ
রং বেরঙের পাখি,
নানা রঙের ফুল যে সেথা
জুড়াল দু'আঁখি।

ব্যাঙ্গমী আর ব্যাঙ্গমারা
বসে আছে গাছে,
খুবই গোপন তথ্য নাকি
আছে তাদের কাছে।

স্বপ্নপুরীর রাজকুমারী
নিখোঁজ গত রাতে ,
তাকে খোঁজার ধুম পরেছে
পুরো রাজ্যটাতে।

তাকে নাকি করছে চুরি
দানব রাজার দলে,
তারা অনেক শক্তিশালী
বাহুতে কৌশলে।

তাদের জীবন পদ্মফুলে
রক্ত দিঘির জলে,
পদ্ম ফুলের বিনাশ কেবল
কাঁটা বনের ফলে।

পচন কাঁটা লাগলে গায়ে
মৃত্যু যে নিশ্চিত,
কাটার আঁচড় লাগতে পারে
ভুল হলে কিঞ্চিৎ।

সবটা শুনে রওনা হলাম
কাঁটা বনের দিকে,
সাতদিন পরে দেখতে পেলাম
বনটা ধূসর ফিকে।

অনেক বাদে বনের ভেতর
পৌঁছে গেলাম শেষে,
ফলটা নিয়ে ফিরতে হবে
দানব রাজার দেশে।

পঙ্খিরাজের পিঠে চড়ে
যাচ্ছি উড়ে ভেসে ,
উড়ে উড়ে চলে এলাম
দানব রাজার দেশে।

পদ্ম জলে ছেড়ে দিলাম
কাঁটা বনের ফল,
ফুলটা তখন উধাও হল
শুকিয়ে গেল জল।

সব বাঁধা পেরিয়ে যখন
রাজ কন্যাকে পেলাম,
হঠাৎ করে ঘুমটা ভেঙে
অবাক হয়ে গেলাম।