সত্তর হাজার পর্দার পাশে থাকিয়া আপন বেশে
সাত আসমান ভেদ করিয়া অন্তরে রয় মিশে।
দেখি নাই তাহারে কভু, বক্ষ ভরা তবু এত মায়া
জানিনা সে দেখিতে কেমন, কেমন তাহার কায়া?
পুষ্প পরশে লালন করিয়া যে সর্ব করিয়াছে দান
পাপ ক্ষমা করিয়া কোলে জরাইয়া লয় সে রহমান,
কত ভালো মোর পরম প্রভু কত দয়ালু মেহেরবান
রহমান নামে ক্ষমাশীল তিনি সকলে বিরাজমান।
নিত্য পাপে মত্ত হইয়া তাহারে ঠেলিয়া দেই দূরে
তবুও মোরে ক্ষমা করিয়া ডাকেগো আপন সুরে।
কত বিরাট কত দয়ালু কত মহিয়ান সেই প্রভু
যাচিলে তাহার দরবারে সে ফিরাইয়া দেয়না কভু।
কেহ রইলো অপন ঘোরে বিবর্তনে সকলে সৃষ্টি বুঝি
অন্তর দ্বার রুদ্ধ করিয়া তাহারে কি পাইবে খুঁজি?
তাহারে ভুলিয়া গেলে বান্দায় তবুও সে কাছে রয়
সকল সৃষ্টিতে মিশিয়া আছেন কভুও সে দূরে নয়।
তিনি আদি তিনিই অন্ত সেইতো পরম প্রজ্ঞাময়
তিনিই ব্যক্ত, তিনিই গুপ্ত, অবগত সকল বিষয়।
সকল সৃষ্টি তাহারি প্রমাণ, ওরে দেখরে চক্ষু খুলি
সৃষ্টির সেরা সৃজন করিয়া সে শিক্ষা দিয়েছে বুলি।
তাহারে কেমনে ভুলিয়া থাকিব তাহার তুল্য নাই
বিবেক আকল দিয়াছে যিনি ভাবিয়া দেখিও ভাই।
তাহারে কভু যায়না ছোঁয়া, কেবলই রয় অনুভবে
অন্তর দ্বার খুলিয়া দেখিও তাহারে দেখিবে তবে।