হে বন্ধুবর, হৃদয়ের সব দ্বার খুলে দাও,
যদি কবি হতে চাও,
সতত বিনয়ী হও,
উদার প্রণয়ী হও।
কবি সে তো প্রেমের ঝর্ণা, নির্মল প্রকৃতি,
হৃদয়ে নেই অসংগতি,
হৃদয় বিনয়ে ভরা
আহা! প্রণয়ের ঘড়া।
কবি সে তো চাঁদের আলো, রবির কিরণ,
সে তো নির্মল সমীরণ,
ছড়িয়ে সতত আলো,
দূর করে কালো।
কবি সে তো সত্যের বাঁশি, সাম্যের বাণী-
ছড়ায় ভূলোকে জানি,
অহম নেই লেশ,
নেই তো বিদ্বেষ।
কবি সে তো পবিত্র এক মানবতার দূত,
সেতো চির তরুণ সূত,
নেই কোনো ক্লান্তি
ছড়াতে সর্বত্র শান্তি।
কবি সে তো সবার সুহৃদ যেন আসমান,
তার হৃদয় যে অম্লান,
নেই কোনো খাদ
কিংবা কোনো বিবাদ।
তাই বলি, হৃদয়ের সব দ্বার খুলে দাও,
যদি কবি হতে চাও,
সতত উদার হও,
তুমি প্রণয়ী হও।
কবি সে তো বীর, হৃদয়ে সত্যের যুক্তি-
ধরণীতে আনে মুক্তি,
সে মুক্তির প্রতীক
শোষণের ঘাড়ে ধিক্।
কবি সে তো রাখালির বাঁশের বাঁশরী,
লেখনী দুরন্ত কিশোরী,
যেন সবুজ ঘাসে
বেড়ায় হেসে হেসে।
কবি সে তো প্রভাবকরের প্রখর দৃষ্টি
ছড়িয়ে করে কাব্য কৃষ্টি
দৃষ্টিতে ন্যায়াধীশ
সে অটুট অহর্নিশ।
কবি সে তো বটবৃক্ষ ছায়া সবার উপর,
সর্বত্র সতত হিতোকর্ ,
তার হৃদয়ে গাঁথা
মানবতা'র কথা।
তাই বলি, হৃদয়ের সব দ্বার খুলে দাও,
যদি কবি হতে চাও,
সতত উদার হও,
তুমি প্রণয়ী হও।
কবি সে তো এক মাধুকরী কুঞ্জবনে,
ছোটে মাধুকীর সনে,
ওঠে খেলায় মেতে
ফুলে সরষে ক্ষেতে।
কবি সে তো নীড় হারা পাখি'র কান্না,
অথই পাথারের পান্না,
ডুবে থাকা রতন
নেই তো যতন।
কবি সে তো মেঘের গুরুগুরু ঝংকার,
অন্যায়ের বিরুদ্ধে হুংকার,
সে মুক্তির কেতন
সে চির নূতন।
কবি সে তো পাহাড় চূড়ের ওই ঈগল,
বজ্র থাবায় ভাঙে আগল,
বৈষম্যের ওই দ্বার
ভেঙে করে চুরমার।
কবি সে তো গোলাপের পাপড়ি স্পর্শ,
সে জীবন বোধের হর্ষ,
খুঁজে পায় পবিত্রতায়
বিবাদ নেই হেথায়।
তাই বলি, হৃদয়ের সব দ্বার খুলে দাও,
যদি কবি হতে চাও,
সতত উদার হও,
তুমি প্রণয়ী হও।