বিয়ের কয়েকবছর পর একদিন--
-অরু! তুমি আসিফের অফিসে কেন গিয়েছিলে?
-কেন আবার! একটা চাকুরির জন্য
-আমার আয়ে তো মোটামুটি ভালোই চলে যাচ্ছে।
-তোমার আবার যে আয়?
-যা-ই হোক,তুমি চাকুরি করবেনা
-না,আমি করবো-ই।
-আমি বলছি তুমি চাকুরি করবেনা
-তোমার যা মুরোদ!তাতে না করে উপায় আছে?
এরকম ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ঝগড়াগুলো
নিয়মিত বিরতিতে বড় হতে হতে
একসময় রুপ নেয় বিচ্ছেদে।
অথবা ধরো-
ওদের ওরকম কথোপকথন হয়-ই নাই
ছেলেটা বলেছিল-
-অরু! এই চাকুরিটার সাথে আমি
আরও একটা পার্টটাইম চাকুরি নিতে চাই
-কেন আবার আরও একটা চাকুরি?তোমার আয়ে তো
আমাদের মোটামুটি ভালোই চলে যাচ্ছে।
-আমার যে আয়!
-যা ই হোক,তোমার নতুন চাকুরি নিতে হবেনা
-না,আর একটা নেয়া দরকার
-আমি বলেছি এখন নিতে হবেনা,পরে দেখা যাবে।
-ঠিক আছে!তোমার যে অভিমান
তাতে তোমার কথা না শুনে উপায় আছে??
এভাবে জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপে
একে অন্যের সন্মান বজায় রেখে
একে অপরকে উপহাসমূলক কথা না বলে
নিয়ন্ত্রিত কথোপকথন আর
নিজেদের মধ্যে আত্মত্যাগের মাধ্যমে
ভালোবাসাকে বাঁচিয়ে রাখে।
ভালোবাসা যদি একে অপরকে
নিজের সম্পত্তি ভাবার অধিকার দিয়েও থাকে
তবুও সে কখনো সেই সম্পত্তির
অযাচিত উপহাসের অধিকার দেয়না।
এটুকুই বোধহয় ভালোবাসার সিদ্ধ আইন
যেটুকুই আমাদের মানা হয়না।