অনেকদিন হয় শাহবাগের টং ঘরের চা হয়না খাওয়া।
পাব্লিক লাইব্রেরীর সিড়িতে বসে নুন ঝাল মাখা,
শশা খেতে খেতে হয়না দেয়া আড্ডাও।
আজিজ মার্কেট বা চারুকলার ফুটপাথে বইয়ের দোকানে,
কেনার ছলে আর্ধেক বই পড়ে ফেলিনা।
দশ বা কুড়ি টাকা বাচাতে,এখন আর দু চার মাইল হাটা হয়না।
শেষাংশের সুখটানে নেই এখন আর কাড়াকাড়ি,ভাগাভাগি।
প্রেমিকার জন্যে বায়বিয় আবেগে লিখতে হয়না চিঠি,
মুমূর্ষু ব্যাক্তিকে রক্ত দেয়া হয়না,
বাংলা একাডেমির পুকুরপাড়ে কারো অপেক্ষায় থেকে
আনমনে ঢিল ছোড়া হয়না।
নীলখেতের বিরানি খাবার আশায়,
বন্ধুকে তোষামোদ করতে হয়না।
রিকশায় তিনজনের, মাঝে বসা নিয়ে বচসা হয়না,
নেই,প্রতিবাদি মিছিল থেকে পুলিশের তাড়া খাওয়া,
নেই, কাঁদানেগ্যাসের শেল পালটা ছুড়ে দেয়া,
ঝাঁঝালো গন্ধটা এখন আর ঠিক স্মৃতিতে নেই।
এখন অভিজাত কুঠরে চায়ের কাপের টুংটাং শব্দ শুনি,
প্রতিদিনের সালাদে হাইব্রিড শশার টুকরো কাটা,
বুক সেল্ফে সাজানো অচেনা লিখিয়ের সারিসারি না পড়া বই,
প্রতিদিন আনকোরা ফিল্টার টিপড প্যাকেট,
প্রেমিকা,প্রেম,আজ অপসৃত, বিরানির গন্ধে অরুচি,
দেশ,রাজনিতী, মুমূর্ষুদের আর্তনাদে নির্বিকার।
অলস, নিষ্প্রভ, দু ক্রোশ যেতে তেল পোড়ানো
আমি এখন এক ক্রম ক্ষয়িষ্ণু, সুবিধাবাদি জীব।