হয়ত এ কোন এক আজব আলঝেইমার,
হয়ত একাকার তাই সব চিরচেনা দিনরাত ;
হয়ত একাকার তাই ম্যাজেন্টা আর গোলাপী;
সুপ্রাচীন এই ডিসটপিয়ার পরতে পরতে
ভেসে আসে তাই মাতাল নিক্ক্বণ-
ভাঙা ভাঙা নিঃসঙ্গ রাগীণী।
আদর্শ পুরুষ কিংবা প্রেমিকের মুখোশ;
পুড়ে গেছে সেই কতকাল আগে গ্রীষ্মের দাবানলে!
তুমি তো জানো সবি'-
বীভৎস অতীত আর সেই অপরাহ্নের গল্প!
"পচা মাছ/বাতি কুমড়ো চিনলে না আজো;
আটপৌরে ছন্দ বুঝবে কি কখনো? "
কি করে বুঝব বল?
যে আলোয় বেঁধে রেখেছ আমার সবটুকু-
মুক্তি কি পাবো আদৌ?
ভবঘুরে বোহেমিয়ান নাহয় রয়ে গেলাম এক জীবন।
যা চেনার তাতো চিনে নিয়েছি বহুকাল আগেই!
নিখুঁত কপোল আর তটিনীর ন্যায় তির্যক ঐ ভ্রু/
শাড়ির আঁচলে মাথা পেতে - দেখা হল
স্ফটিক শিশির কিংবা স্থবির জমাট অশ্রু/
দেখা হল আধবোজা টকটকে লাল পদ্ম,
নাম না জানা হাজারো পতত্রী।
নির্জন সরোবরে সূর্যাস্তের ম্লান আলোয়
যখন জ্বলে উঠে মায়াবী প্রদীপ -
নিঃসঙ্গ পৃথিবীতে শুধু আমরা দুজন ;
অদ্ভুত-অদ্ভুত রকম একাকী।
ধবধবে কাশবন ভেঙে হেঁটে গিয়ে জানলাম-
চাইলেই অমর হতে পারতাম সেইদিন মোরা।
তুমি তো দেখেছো সবি';
সন্ধ্যের আলো কিভাবে মিশে যায় ঘুটঘুটে রাতের আঁধারে,
রক্তমাংসের শরীরগুলো বদলে যায় কাঠের পুতুলে!
তবু যদি চাও, তবে তাই হোক।
নির্ভুল নিখুঁত এ ঘড়ির কাঁটার জীবন;
খসে পড়ুক ধ্রুবতারা,
শহুরে ধুলোয় ভেসে যাক লাল-নীল স্বপ্নেরা।
ভুলে যাওয়া হোক কনকনে শীতের রাত
আর কুয়াশায় মোড়া শূন্য রেস্তোরাঁ-
ধূমায়িত কফি নিয়ে বসে থাকা নির্নিমেষ।
সাদাকালো পৃথিবীর সাদাকালো মায়ায়
যদি ফিরে পেতে চাও সেই আদিম ঘ্রাণ/
পেতে চাও একমুঠো জোনাক ,
কোন বিদগ্ধ-বিক্ষত ক্ষণিকায়।
হেঁটে যেও সেই পুরনো পথ,
একমুঠো নীল পদ্ম হাতে আরো খানিকটা।
আদিম সে জলাভূমির প্রগাঢ় নির্জনতায়-
খুঁজে নিও আমায় সেদিন।
খুঁজে নিও সেদিন আমায়,
যেভাবে দেখেছিলে ঠিক -
সেই অলৌকিক সন্ধ্যায়!