আজ এই মুহুর্তে খুব সহজেই তুমি খুন করতে পারো আমায়।
জরায়ুর গভীরে ঘুমিয়ে থাকা অসহায় ভ্রূণের মত;
এতটাই- এতটাই অসহায় আমি আজ,
এতোটাই অসার-ক্ষীণ-স্পন্দনহীন।
ভেঙ্গে ফেলতে পারো তোমার আলতো স্পর্শে,
ভীষণ রকম ভঙ্গুর, নশ্বর এই দেহটা।
(যেখানে তোমার বাস ঘুণোপোকা হয়ে)
সিগারেটের ছাই হয়ে মিশে যাবে তা গ্রীষ্মের উত্তপ্ত বাতাসে -
নির্ঘুম শেষরাত্রিতে তোমার ক্লান্ত দীর্ঘশ্বাসে।
আ্যাম্ফিটেমিন কিংবা তুমি
আর এই দুমড়ে যাওয়া হৃদয়;
পরাজিত - বিধ্বস্ত সেই কতকাল আগে।
খুঁজে চলেছে মরীচিকা উদভ্রান্ত হয়ে,
নির্জন রুক্ষ এ মরুপ্রান্তরে /
সারাগোসার শৈবাল সমুদ্রে/
সাইরেনদের হাহাকার মেশা আয়োনিয়ান উপকূলে।
জীর্ণ দেয়ালের শীর্ণ পলেস্তারারা,
খসে পড়ছে ঘড়ির কাঁটার টিক-টিক তালে।
কখনোবা জ্বলে উঠছে ফসফরাস-শিখা হয়ে;
আলো জ্বালায় অন্ধকার চিলেকোঠায়-
এ মৃত স্বপ্নদের ভাগাড়ে।
ভিখিরির থালায় যদি নৈর্বদ্য না মানায় ;
তাহলে কেনইবা এ বসে থাকা?
কেনইবা এই অর্থহীন প্রতীক্ষা-
দুপুর গড়ানো বিকেল, তারপর সিঁদুরে সন্ধ্যেবেলা?
আধখানা চাঁদের মত নির্জন,
অসম্পূর্ণ এই জীবন - কেনইবা বেঁচে থাকা?
এক মুহুর্ত আকাশ ছোঁয়া তোমার আনত চোখের মায়ায়,
মাঝরাত্রিতে ঘুম ভেঙ্গে খোঁজা উন্মাদ কবিতায়,
তোমার স্পর্শমাখা দূর ছায়াপথ, দূর নীহারিকায়।
এতটাই অসহায় আমি, এতটাই অসহায়।
নিঃস্ব, রিক্ত এ দুহাত আমার আজ-
এতটাই অসহায়।