মা, তুমি যে পৃথিবী রেখে গিয়েছিলে সত্যযুগের পর;
তার প্রতিটি ধুলো আজ অন্ধকারের দাস-
দাস হয়ে উড়ছে গড়ুরের প্রেতাত্নায় ভর করে।
আর সে অন্ধকারে শকুনীর দল খুবলে খায় নবজাতকের চোখ।
মানুষখেকো দানবদের ভয়ে-
দেবতারা সব আজ হিমালয়ের ওপারে
দূর দূর তিব্বতে।
অসুরের দল তাই দাপিয়ে বেড়ায় এ বিধ্বস্ত জনপদ।
প্রলয়ের ধ্বংসনট্যমে কাঁপছে এ পৃথিবী- তোমার শোকে মাতম।
প্রয়োজন আজ তোমায়;
প্রয়োজন আজ তোমায় ভীষণ।
মা, তুমি ফিরে এসো;
যেভাবে এসেছিলে ফিরে মার্কণ্ডপুরাণে,
এ শারদীয় সুদীপ্ত অকালবোধনে।
দেবতাদের তেজে দীপ্ত হয়ে জ্বলে উঠো অনির্বাণ,
পুড়িয়ে দাও সব, যা কিছু বিষাক্ত -কুৎসিত।
ক্ষতবিক্ষত হোক চামড়, চিক্ষুর,
অসুরের রক্তে ভিজুক ঐ শঙ্খ, ঐ ত্রিশুল নির্ভীক।
জেগে উঠো আরো একবার,
উঠে এসো একান্ন মহাপীঠ ভেদ করে ;
নেমে এসো ঐ আকাশগঙ্গা থেকে।
হিমালয়ের ঔরসে জন্ম হোক আরো একবার;
এই শারদীয় অকালবোধনে।