যেভাবে তোমাকে দেখেছি শেষবার,
প্রাগৈতিহাসিক সে গুহার নীলচে আলোছায়ায়;
ঠিক সেভাবেই বেঁচে থেকো আরো একশ বছর।
ভিঞ্চির তুলির আঁচড়ে ফুটে ওঠা ধারালো চিবুক,
আর্য মেষবালিকার মত গভীর অশান্ত ওই চোখ,
অম্লান থাকুক আরো একশ বছর।
থাকুক মায়া হরিণীর মতো টান টানা
নির্ভাজ অমলিন ঐ মসলিন ত্বক-
সদ্য ফোটা লাল গোলাপের মত শাশ্বত;
ভোরের আহ্বান ফুটে থাকুক সেখানে সুবিন্যস্ত।
হাজার বছর কিংবা আরো আগের
দূর পুরাণের সেই নারীদের মত।
কখনো এন্ড্রোমিডা, কখনো আফ্রোদিতি হয়ে তুমি বেঁচে ছিলে সেইদিন।
ছিল পায়ের তলায় ছড়িয়ে থাকা হাজারো অর্ঘ্য অবিন্যস্ত;
যুগে যুগে বদলাওনি আজো তুমি- এতটুকু মাত্র।
কি চাই তোমার, দেবী নিরূপমা...?
মহাকাশ ভাঙা নক্ষত্রচূর্ন নাকি সেই কিংবদন্তী ঝরনা?
যেখানে বহমান আজো চিরসবুজ অমৃতধারা।
যদি চাও তো, ভেজাব ঐ পা কুমারীর লাল রক্তে;
তবু তুমি বেঁচে থেকো অমলিন অজর কবিতা হয়ে।
বেঁচে থেকো মহাকালকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে,
ভেনাস ডি মিলো হয়ে,
আমার বুকের নোনা প্রান্তরে তুমি নামক জাদুঘরে।