তোমাকে চিনতাম না, চিনতাম না, সেই ছিল বেশ;
পানকৌড়ির ডানায় ভেসে উড়ে যাওয়া,
দৃষ্টি ভেজা আকাশ ছাড়িয়ে বহুদূর বহুদূর নিনির্মেষ।
তোমাকে চিনতাম না, হয়তো সেই ছিল বেশ ।
তোমাকে দেখেছিলেম না, দেখেছিলেম না, সেই ছিল বেশ;
দেখতাম ভরা জ্যোৎস্নায় হাওড়ের জলে হিজলের নাচন,
গলুইয়ে ঝুলান পায়ের নিচে কেটে যেত উন্মাতাল স্রোত,
সময় সে তো কেটে যাচ্ছিল বেশ।
ভালোবাসতে ভুলেছিলেম, ভালোবাসতে, সেই ছিল বেশ।
ইটপাথরের খেলাঘরে ডুবে থাকা; ভালোবাসা! সে তো শুধু নিজেকে;
মায়াবী কোন সিম্ফনির সাথে,
কেটে যেত নির্ঘুম রাত সিগারেটের ধোঁয়ায় ভেসে ভেসে।
ভালোবাসা? সে তো অমিতের পাগলামো, লাবণ্যের অভিমান;
সময় সে তো কেটে যাচ্ছিল বেশ।
হঠাৎ কেন এলে তুমি, মীনাক্ষী, এই সন্ধেবেলার ক্ষনে?
গোধুলীর আলো চিড়ে সিদুরমাখা এই শেষ বেলাতে;
আজ কেন এলে তুমি? আজ কেন এলে?
বহুদিন আগের ছেঁড়া কবিতার পাতায় ভেসে ভেসে।
যে হাসিতে খেলা করে জ্যোৎস্নারা,
যে হাসিতে ভেসে যায় স্বার্থপর স্বপ্নেরা,
ভেসে যায় স্বার্থপর কবিতারা,
একে একে হয় তারা নির্জন-নির্বাক;
সে হাসিতে বুনে চলেছ আজ কোন সে মায়াবী ইন্দ্রজাল?
সারা পৃথিবী আজ নেশাতুর, বিধ্বস্ত সেই খেলাঘর,
তোমার শাড়ির আঁচলে শুয়ে কাটছে মহাকাল, স্তব্ধ- অজর।
চোখ মেলে দেখো আজ, দেখো একবার চোখ মেলে;
প্রতিদিন আমি খুন হই কিভাবে একটু একটু করে;
তোমার চোখের আদরে, তোমার আলতো স্পর্শে
প্রতিদিন আমি খুন হই একটু একটু করে।