খোলা আকাশের নিচে আমি একা দাঁড়িয়ে আছি,
শুনশান নিস্তব্ধতা ।
মাঝে মাঝে মেঘের ছায়া
আমার অশান্ত মনের উপর
ছায়া ফেলে যায়।
অবিশ্রান্ত আকুতি আজ আপনারে দেখে
রক্তের পরম মায়ায় সমন্বয় হয়ে,
ধসে পড়া অতীতের সমস্ত অঝরা
নির্মিশেষ করে পাঁজরের ভিতর আর্তনাত করছে।
বলি কারে
জগতের শূন্য ধারায় ?
এতকাল পর সমাধি সলিল হতে
শ্মশানের ঘাটে , হঠাৎ
দানবের মত এক হিমায়িত সোচ্চার;
দেহের শিহরিত লোম শীতলতায়
আমার আতঙ্কিত সুদূরের পথে ।
শৈশব লালিত স্নেহ , ভালবাসার সুখ মাখা
দুর্দিনের হাত ছানি দিল
আমি নিজেকে স্থির রাখতে পারলাম না।
তপ্ত জ্বালার মাঝে মায়া মুখের
এ স্বাদটুকু নিদারুণ—
আবেগ প্রবণ হয়ে গেছি,
একবার বলনা ওরে -----
কেমন আছিস ... তোরা...?
একবার বুকে জড়িয়ে নিয়ে
বল না ওরে---- তোদের বুকের শূন্যতা
নিলামে দে না।
চাওয়া পাওয়ার উরধে রক্তের দাবি নিয়ে
বল না ওরে---
দমকা হাওয়ার তোড়ে উড়ে গেছে যা—
ভুলে যা -সব ভুলে যা--।