আজব্দি মাথা তুলে দাঁড়াতে পারিনি বলে,আমার ভুবনকে ম্লান দিগন্তের দিকে ঠেলে দিতে দ্বিধা কম্পিত করোনি।
অভিশপ্ত চোখে তামাশায় কটাক্ষ করে নিরঙ্কুশ বলে যাওয়া রহমান চাচার সুনীল নরকের বুলি জননী কে পোড়াত শব্দের ভাঁজ খুলে খুলে।
বিক্ষত মনের ডাকবাক্স খুলে অন্ধকার পোহাত বাতাসে ঘুমের ছায়ায় ছায়ায়।
একটা দরজা ফাঁক করে ভিতরের আলোর রঙ ছুঁয়ে দেখার চেষ্টা করে, ব্যর্থ হয়েছি বারবার।
প্রতিশোধ নিব নিব বলে কতো রাত জেগে জেগে নকশায় নিশানা এঁটেছি, নির্জন দলছুট গহীনের পানে-
প্রত্যয় একদিন মাথা তুলে দাঁড়াবো। প্রজাপতি আঁকবো রঙিন স্বপ্ন কোলে।
তোমাকে তুমি বলে সম্মোধন করবো বলে পাতা ঝরা কতো বসন্তের পানে কেটে গেছে ক্ষণ ।
রাত প্রহরের উষ্ণ মায়ায়, আমার গহীনের সাদা-কালো এ্যলবাম, দীর্ঘ শৈশবের আঁকড়ে ধরা ফটোগ্রাফি
আজও শ্রাবণের ফোঁটায় বইছে সমুদ্রের পৃষ্ঠায়।
দুর্বোধ্য কবিতার মতো, অমৃত অন্নের স্বাদকে মর্মে মর্মে উপলব্ধি করেছি;
জন্মগাঁথা প্রিয় দারিদ্রতাকে সুন্দরের উপাখ্যানে অর্থ খুঁজার চেষ্টা করেছি শিকারির মতো।
যদি একবার মাথা তুলে দাঁড়াতে পারি তবে, বাষ্পীভূত নরকের অবিরাম অপুষ্ট অভিধানকে চড়া দামে কিনে নিব।
জমিনে নাঙ্গল দিয়েছে বলে অগ্রজের আশীর্বাদ স্বরূপ রহমান বাবাকে ও ছাড়েনি ।
সুরঞ্জনা অবুঝ শিশু- শূন্যতা শুনশান করুণার ক্যানভাসে প্রহর গুনেছিল,
যদি একদিন মাথা তুলে দাঁড়াতে পারি- সত্য সুন্দরের পথে
অবিরাম তটস্থ অসহায় মানুষের পক্ষে নিত্তির পাল্লা স্থির করে নিব।
ঘুন পোকায় যে জীবনের সমস্ত ভাবনার মোহনীয় ভবিষ্যৎ গুলোকে আঁধারের গর্ভে বর্ণছটা করেছে,
বিষণ্ণতায় জ্বলছে যেখানে মহাশূন্যের শ্বেতফুল, উলঙ্গ শব্দরা যেখানে পিষিয়ে মারছে
নজরুলের বিদ্রোহী গান,
যদি একদিন মাথা তুলে দাঁড়াতে পারি- আগুনের উৎসবে নয়,
চৌত্রিশ বছরের মগজের উদ্যানে সঞ্চিত পলাশের বনে নির্ভয়ে ঝরাবো কাঙ্ক্ষিত কুয়াশা বিন্দু।
যদি একদিন মাথা তুলে দাঁড়াতে পারি- এসবের শোধ আমি হিস্যায় হিস্যায় বুঝে নিব।