বছরের তিন’শ পঁয়ষট্টি দিনের প্রতিটি রাত-ই
রাত জাগা রাতপরীদের জীবনের একটা অংশ ,
পুরুষের ভোগের অনুপ্রাণন যোগিয়ে যায়
দীপান্বিতা ঐ রাত পরীর বংশ।
অতিরঞ্জিত অনুরাগীরা সজোর হাওয়ার
ঘুট ঘুটে অন্ধকারে ছুটে ছুটে খুঁজে বেড়ায় ।
সমাজ সভ্যতায় এদের পরিচয় ?
রাতে রাত পরী ,
আর ঝলসানো দিনের আলোয় “ বেশ্যা জরি” ।
এভাবে বিক্রি হয় ঢলন রাত পরীর স্বপ্ন।
এরা ! তবু নষ্ট নারী, নষ্টাপেশী ;
জীবন নদীতে এরা চিরকাল দ্রোণি ।
কীটদষ্ট শরীরের স্থবিরতার চাপে
নিষ্পেষিত , এ দেহ যখন অনড় অথর্ব হয়,
তখন আর তার সমাধির প্রয়োজন হয় না।
যে পুরুষ রাতের আঁধারে নিস্যন্দিত করে-
তারা কি আর নষ্ট পুরুষ হয়.?
না হয় না !
কারন এ সমাজ জমকালো নিয়নের কুলসিত
বর্ণসঙ্কর জাতি বিশেষ, তাই
এদের মৃত্যুর পর জানাযা হয় , মহারুদ্র হয়।
হে সমজ,,,,,
তুমি শুধু এলে অর্ধ জাতির জন্য...,
মানুষের জন্য নয় ।
হে সমাজ তুমি শুধু এলে
শোষণের জন্য পক্ষলয়ে,
নির্যাতিতার জন্য নয় ।
হে সমাজ তুমি শুধু এলে ;পুরুষের
জন্য এলে বুঝি বয়...,
অতঃপর নারীর জন্য নয়...।